ইসলামি আন্দোলন বাংলদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মোঃ ফয়জুল করিম (পীরে কামেল চরমোনাই) বলেন, হেদায়েত হলো মানুষের জন্য সর্বোত্তম নেয়ামত। এজন্যই হেদায়েত নামক অমূল্য সম্পদটি আল্লাহপাক তার নিজের হাতে রেখেছেন। এই সম্পদটি তিনি বান্দাকে নিজ হাতে দিতে চান। তবে এজন্য আমাদের শুধু মাওলার কাছে চাইতে হবে। মন থেকে কেউ হেদায়েত চাইলে আল্লাহপাক অবশ্যই তাকে হেদায়েত দিয়েই দিবেন। এজন্য বেশি বেশি হেদায়েত চাইতে হবে। মানুষ আল্লাহর অনুগ্রহ ছাড়া কিছু করতে পারে না। চরমোনাই’র মুরিদ হয়ে যারা জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক এ কথা বিশ্বাস করবে অথবা কাজে বাস্তবায়ন করবে ওরা চরমোনাই’র মুরিদ না। একদল লোক আছে নিজেরা নামাজ পড়ে বেনামাজিদেরকে ভোট দেয়। বুঝা গেছে তাদের নামাজ কবুল হয়নি। তিনি আরো বলেন, আ’লীগ নৌকা নিয়ে আসবে শেখ মুজিবের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে। বিএনপি ধানের শীষ নিয়ে জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে। আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাতপাখা নিয়ে আসবে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের সা. নীতি-আদর্শ বাস্তবায়ন করতে। এবার চিন্তা করুন, আপনি কোন প্রতীকে ভোট দিবেন? ইসলামের পক্ষে রায় না দিলে ময়দানে মহাশরে আপনি খেয়ানতকারী হিসেবেই মাওলার দরবারে উত্থিত হবেন।
জেরুজালেমকে ট্রাম্পের ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে মুফতী সৈয়দ মোঃ ফয়জুল করিম বলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মুসলামনদের হৃদয়ে আঘাত করেছেন। জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মোকাদ্দাস মুসলমানদের প্রথম কেবলা। মুসলমানদের পবিত্র স্থান হিসাবে পরিগণিত জেরুজালেম ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাঈলের রাজধানী হতে পারেনা। ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ মুসলিম বিশ্বের সাথে বিদ্রæপ করার শামিল। ট্রাম্প অনাধিকার চর্চা করেছেন। ট্রাম্পের এ ঘোষণা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি প্রত্যেক মুসলমানকে নিজে নিজ অবস্থান থেকে ফিলিস্তিনের পাশে দাড়িয়ে জেরুজালেম উদ্ধারের আন্দোলনে পীর সাহেব চরমোনাই’র নেতৃত্বে শরীক হওয়ার আহবান জানান। তিনি শুক্রবার রাতে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে বিশাল ওয়াজ মাহফিলের ২য় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সুলতানপুর মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আনোয়ারুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা অব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় প্রধান মেহমান হিসেবে বয়ান পেশ করেন দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতী মোঃ আমীন পালনপুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুফতী ওমর ফারুক স›দ্বীপী, মাওলানা ইউনুস আহমদ, মাওলানা ফয়জুর রহমান, মাওলানা আসাদ উদ্দিন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন