চট্টগ্রাম ব্যুরো : চিকিৎসকদের আকস্মিক ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। গতকালও (শুক্রবার) চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডাক্তারদের চেম্বার বন্ধ থাকে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সকল সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জরুরী চিকিৎসায় আগত রোগীদের তীব্র ভিড় জমে ওঠে। এ অবস্থায় চট্টগ্রামে রোগীদের চরম দুর্ভোগ অব্যাহত রয়েছে। রোগী ও তাদের স্বজনরা জরুরী চিকিৎসার জন্য হন্যে হয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরছেন।
অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় রোগীর প্রাণহানির অভিযোগে তিনজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে ‘হয়রানি ও মানহানিমূলক মিথ্যা মামলা’ হিসেবে উল্লেখ করে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) আহ্বানে তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রামে ডাক্তারদের প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ রাখায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অসংখ্য রোগী ও তাদের স্বজনরা। তারা রোগীদের জিম্মি রেখে চিকিৎসকদের এ আন্দোলনে তীব্র ক্ষোভ-অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বেসরকারি হাসপাতালে ও চেম্বারে চিকিৎসা না পেয়ে তারা বাধ্য হয়ে ছুটছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়ে বেসামাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবস্থা সামাল দিতে চিকিৎসকদের সবধরনের ছুটি বাতিল করেছেন। গতকাল চমেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ছিল ব্যাপক রোগীর ভিড়। অতিরিক্ত রোগীর চাপের কারণে হাসপাতালে স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
এদিকে মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মুজিবুল হক খান বলেছেন, ডা. শামীমা সিদ্দিকা রোজী, ডা. মাহবুব আলম ও ডা. রানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে হয়রানি ও মানহানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ থাকবে। আজ (শনিবার) সকালে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে চিকিৎসকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন। বিকেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে। তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেয়ার দাবিতে পূর্বঘোষণা ছাড়াই বিএমএ’র ব্যানারে গত বুধবার থেকে প্রাইভেট প্রাকটিস আকস্মিকভাবে বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন