বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশ ও ভারত দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ত্রিপুরা-কুমিল্লা আন্তঃদেশীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের উদ্বোধন করবেন। সকাল ১০টায় ঢাকায় শেখ হাসিনা ও দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে এই আন্তঃদেশীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
এর পরপরই ভারত-বাংলাদেশ ৪শ’ কেভি ডাবল সার্কিট লাইনটিতে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু হবে এবং এই গ্রিড লাইন দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে বাংলাদেশে।
গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে বিদ্যুৎ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ভারতের পালাটানা থেকে বিদ্যুৎ আনতে বাংলাদেশ অংশে ২৭.৮ কিমি ও ভারতে অংশে ২৪ কিমি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। লাইনটি বাংলাদেশে কুমিল্লার কসবা দিয়ে প্রবেশ করেছে। সব মিলিয়ে গ্রিড লাইনটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৫২ কিলোমিটার। তবে ত্রিপুরা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ আমদানি গত ১৬ মার্চ থেকে শুরু হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে আমদানি হবে আজ বুধবার থেকে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ভারত যখন বিদ্যুৎ দেবে, বাংলাদেশ তখনই টাকা পরিশোধ করবে। এছাড়া আর কোনো চার্জ থাকছে না। ভেড়ামারা দিয়ে ভারত থেকে বর্তমানে যে ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে, সেখানে বিদ্যুৎ না কিনলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। এবার সেই ক্যাপাসিটি চার্জও থাকছে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভেড়ামারা দিয়ে ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির সঙ্গে এবারের ১শ’ মেগাওয়াট যোগ হয়ে ৬শ’ মেগাওয়াটে উন্নীত হচ্ছে। আগের ৫শ’ মেগাওয়াটের মধ্যে ২৫০ মেগওয়াট ইউনিটপ্রতি ২.৫০ টাকা ও অন্য ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটপ্রতি ৪.৫০ টাকা দরে আনা হচ্ছে। এই তুলনায় ত্রিপুরা থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ অনেক বেশি দামে ক্রয় করা হচ্ছে। ত্রিপুরা থেকে আমদানিকৃত বিদ্যুতের দর নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে পাঁচ রুপি বা ৬.৪৩ টাকা।
নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার মেগাওয়াট। এর মধ্যে জ্বালানি তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতি ইউনিটে খরচ পড়ে প্রায় ১৭ টাকা। আর গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ে ২ টাকার মতো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন