রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আজ শুভ বড়দিন

সারা দেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আজ শুভ বড়দিন। খ্রিস্ট ধর্মের অনুসারীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের দিন। এই দিনে খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টি-কর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য যিশু জন্ম নিয়েছিলেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটায় শুরু হয়েছে বড়দিন উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা। এ উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশের গীর্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণাঢ্য সাজে। বড়দিন উদযাপনে রাজধানীসহ দেশজুড়ে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। খ্রিস্টান স¤প্রদায়ের সদস্যদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বেরে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মানুসারীরাও আজ আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপন করছেন। আজ সরকারি ছুটির দিন। গত কয়েক দিন নগরের খ্রিস্টধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে তরুণ-তরুণীদের কীর্তনের দল ঘরে ঘরে ঘুরে বেড়িয়েছে।
দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিস্টান পরিবারে কেক তৈরি হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। দেশের অনেক অঞ্চলে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর বসবে। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনেকে বড়দিনকে বেছে নেন।
বড়দিন উদযাপনে প্রস্তুত দেশের খ্রিস্ট ধর্মের অনুসারীরা। দেশের সবচেয়ে বড় গীর্জা তেজগাঁও গীর্জার প্রস্তুতিও চূড়ান্ত। ভেতরে বাইরে সবখানেই চোখে পড়ে বর্ণিল সাজসজ্জার। রাত সাড়ে আটটায় বিশেষ প্রার্থনার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে বড়দিনের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
বর্ণিল উৎসব আর আনন্দের ছটা ছড়িয়ে পড়েছে কাকরাইলের গীর্জাতেও। সাজানো হয়েছে গোশালা-ক্রিসমাস ট্রি। ফুল আর রঙিন কাগজে নান্দনিক সাজে সেজেছে পবিত্র গীর্জা। রাত সাড়ে আটটায় আর্চ বিশপের প্রার্থনা পরিচালনার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে এই গীর্জায় বড়দিনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
এবার বড়দিন উদযাপনে থাকছে বিজয়ের ছাপ। লাল-সবুজসহ বর্ণিল সাজ ও আলোকসজ্জায় সেজেছে রাজধানীর চার্চ ও পাঁচতারা হোটেলগুলো। সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি, ফুল, জরি, রঙ্গিন বাতি দিয়ে। বড়দিন উদযাপনে দিনজুড়ে থাকছে নানান আয়োজন।
এদিকে, বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। গীর্জাগুলোয় থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকস্তরের নিরাপত্তা বলয়।
কাকরাইলের সেন্ট মেরীস ক্যাথেড্রাল চার্চ
কাকরাইল গির্জার ফাদার খোকন ভিনসেন্ট গমেজ বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও প্রার্থনার মাধ্যমে শুরু হয়েছে বড়দিন। কয়েকশ’ মানুষ এই প্রার্থনায় অংশ নিয়েছে।
কাকরাইলের সেন্ট মেরীস ক্যাথেড্রাল চার্চ সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে আয়োজন। প্রথমে পাঠ করবেন ফিলিপ পালমা, তারপর পাঠ করবেন রেখা গোমেজ। এরপর সর্বজনীন প্রার্থনা পরিচালনা করবেন স্মৃতি রোজারিও।
কাকরাইল গির্জা ছাড়াও দেশের সব কয়টি গির্জায় এখন প্রস্তুত। এছাড়াও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরেও চলছে বিভিন্ন রকমের আয়োজন। ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করা, পিঠা-পায়েস বানানোসহ হরেক রকম মুখরোচক খাবারের আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। ###

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন