ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যাক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, বিজয় হয়েছে একটি দেশের। বিজয় হয়েছে পতাকার। কিন্তু মানুষ এখনো স্বাধীনতার সুফল পায়নি। খুন-গুম, হত্যা-র্ধষন এখন নিয়মিত ঘঁটনায় পরিণত হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশচুম্বি মূল্যবৃদ্ধি জনজীবন দূর্বিষহ করে তুলেছে। এমন পরিস্থিতির জন্য মুক্তিযোদ্ধা ৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রাম করেনি। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও জাতিকে বিভক্তি করার চক্রান্ত চলছে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর এসে যারা ধর্মনিরপেক্ষতার ঘোষণা দেয় তারা আসল ইতিহাসকে গোপন করছে। স্বাধীনতার ঘোষণায় ধর্মনিরপেক্ষতার কথা ছিল না। ৭৫ সালে ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজন করা হয়। কাজেই মুসলমানদের প্রকৃত স্বাধীনতার সুফল পেতে হলে আরো একটি সংগ্রামের সুচনা করতে হবে। যার মাধ্যমে এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে। ইসলাম ছাড়া মানবতার মুক্তি সম্ভভ নয়।
১৬ ডিসেম্বর বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ঢাকা মহানগর আয়োজিত ‘মহান বিজয় দিবস : প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষখ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর আহŸায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, আলহাজ্ব মনির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদ, এডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখ, নুরুজ্জামান সরকার প্রমুখ।
অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতা দেশেও আমরা পরাধীন। দেশের মানুষের নাগরিক ও ভোটের অধিকার নেই। স্বাধীনতা সংগ্রামে ঈমানদার জনতার অবদান স্বীকার করতেই হবে। যারা বিভিন্ন অজুহাতে জাতিকে বিভক্ত করতে চায় তাদের চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। তিনি বলেন, মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বস্তরের জনতাকে কায়েমী স্বার্থবাদের বিরুদ্ধে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, বিজয়ের ৪৬ বছরে ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ানজ স্বার্থে ব্যবহার করছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারগুলো দেশকে বিদেশীদের আক্রমনের কেন্দ্রেস্থলে পরিণত করে স্বাধীনতাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, স্বাধীন দেশে ইসলামী আইন ও হুকুমত না থাকার কারণে সমাজে জুলুম নির্যাতন, খুনসহ অপরাধ বেড়েই চলছে। বিজয়ের প্রাপ্তি সম্পর্কে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, আমরা পেয়েছি চোরের খনি, তত্ত¡াবধায়ক সরকারের শাসনামলে জনগণ জেনেছে তার দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি উভয় দলই এ চোরেরা রয়েছে। তিনি বলেন, ইসলাম বাদ দিয়ে সেকুলারিজম কায়েম করা, পর্দা উঠিয়ে দেয়া, ইসলামী তাহজীব তামাদ্দুনকে ধ্বংস করতে এদেশ স্বাধীন হয়নি।
বুড়িচংয়ে বাংলাদেশ
ইসলামী ফ্রন্ট
২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট বুড়িচং উপজেলার শাখার উদ্যোগে দলের ২৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি আবুল হোসেন আল কাদরীর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের উপজেলা সাধারন সম্পাদক জননেতা গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, আহলে সুন্নাল ওয়াল জামাত বুড়িচং উপজেলা সাধারন সম্পাদক পীরজাদা হযরত মাওলানা শেখ সাদী আবদুল্লাহ সাদকপুরী, বুড়িচং ইসলামীয়া সুন্নিয়া মাদরাসার সহ-সুপার মাওলানা গোলাম মোস্তফা, বুড়িচং উপজেলা কমপ্লেক্স জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মোহাম্মদ বাইজিদ রাজা রাজাবী, হাজী মো: ফরিদ উদ্দিন, মো: নাজির মিয়া খন্দকার, মাওলানা মো: আবদুস সালাম ফারুকী, মো: আবদুল কাদের, মুফতি মাওলানা শামস তিবরীজ সাদকপুরী, মো: আবদুল হান্নান, মাওলানা মো: আবুল খায়ের খান ও মো: নাজমুর হাসান। সভায় বক্তারা, আহলে সুন্নাল ওয়াল জামাতের আদর্শ বাস্তবায়নে ও কোরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কে শক্তিশালী করার জন্য তরিকতপন্থী সুফী-সুন্নি জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। Ñপ্রেস বিজ্ঞপ্তি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন