বিশেষ সংবাদদাতা : ঢাকার নটরডেম কলেজের সামনে থেকে কেরানীগঞ্জের কদমতলী সার্কেল পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার নগর ভবনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, প্রায় দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ফ্লাইওভার প্রকল্পে বিদ্যমান বাবুবাজার ব্রিজের উপর আধুনিক প্রযুক্তিতে আরেকটি ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এই ফ্লাইওভার বাস্তবায়ন করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফ্লাইওভার নির্মাণের সময় যাতে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ঠিক থাকে এবং মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভার নির্মাণের সময়ের মতো ভোগান্তি যেন না হয়, সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা গেছে, মূলত শান্তিনগর থেকে ঢাকা-মাওয়া রোড (ঝিলমিল) ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজের অনুমতির বিষয়টি সভায় ওঠানো হলে এই ফ্লাইওভারের রুট অনুমোদন দেওয়া হয়। শান্তিনগর এলাকা থেকে ফ্লাইওভার শুরু হলে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি), মেট্রোরেল রুট-১-এর সঙ্গে ‘কনফ্লিক্ট’ হতে পারে, এমন আলোচনার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের জানান, নির্মাণাধীন মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড় থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত দুই কিলোমিটার অংশ সাধারণের চলাচলে উন্মুক্ত করা হচ্ছে। আগামী ৩০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অংশের উদ্বোধন করবেন। এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ এ ফ্লাইওভারের মগবাজার থেকে রাজারবাগ ও মালিবাগ আবুল হোটেল পর্যন্ত অংশ সাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী এপ্রিলের শেষে মেট্রোরেল রুট-৬ প্রকল্পের নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন। এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা উত্তর মেয়র আনিসুল হক, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন