শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করুক প্রত্যাশা গণশিক্ষা মন্ত্রীর

| প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীর ফল নিয়ে সন্তুষ্ট প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা শতভাগ শিশু পাস করুক। তবে অসন্তুষ্ট হওয়ার মতো কোন ফল হয়নি। ৯৫ পয়েন্ট সামথিং এটাকে মোটামুটি উৎসাহব্যাঞ্জক বলব। গতকাল (শনিবার) প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি আমাদের ছাত্ররা ফেল করবে কেন। তাদের ভালো করে পড়ান, আমরা তো শিক্ষকদের জন্য অনেক কিছু করছি। ফেল তো করার তো কথা নয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে তো শতভাগ শিক্ষার্থীরা এক ক্লাস থেকে আরেক ক্লাসে যায়। আমাদের দেশে যেতে পারবে না কেন? তিনি বলেন, ভালোর কোনো শেষ নেই। শেষ ধাপ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাব। পাসের হার কমার কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি শুধু হিসাব দিয়েছি যা হয়েছে তার। এর (পাসের হার কমার) বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, সেটা গবেষণার বিষয়। পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা দিতে হলে আমাদের অ্যাসেসমেন্ট করতে হবে। তিনি বলেন, এবার কেন ফল কমল, এই ফলটা নিয়ে গবেষণা করে বের করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও এর উত্তর খুঁজবেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা ফলাফল প্রস্তুত করে সবেমাত্র ঘোষণা করলাম। ডেফিনেটলি প্রত্যেকটি বিষয় এরপর আমরা অ্যানালাইসিস করে দেখব। দেখব কেন পাসের হার গত বছরের চেয়ে কমল? এছাড়া সমাপনী পরীক্ষার বাইরেও আমরা একটা গবেষণা কাজ করে থাকি, তা হলো ন্যাশনাল স্কুল অ্যাসেসমেন্ট (এনএসএ)। প্রতি দুই বছর পরপর হয়, সেখানে প্রত্যেকটি ট্রেন্ড অ্যানালাইসিস করা হয়, কেন বাড়ছে কেন কমছে। এনএসএ’র ফলাফলটা আমার প্রকাশ করে থাকি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফল ক্রমে খারাপ হচ্ছে জানতে চাইলে গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে যতটুকু সহায়তা দেয়া যায় সেটার ব্যাপারে সরকার আন্তরিক ও চেষ্টা করছে। আমাদের মূল হাতিয়ার হচ্ছে আমাদের শিক্ষকরা। শিক্ষকরা যদি নিবেদিত প্রাণ হন তবে আমরা মানসম্মত শিক্ষা পাব। শিক্ষকদের দক্ষ করতে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই জায়গাতে আরও অনেক কাজ করতে হবে। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আসিফ-উজ-জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন