বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর তেজগাঁও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করার জের ধরে গত মঙ্গলবার সন্ধা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত শিক্ষার্থী, স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে কয়েকজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। আহতরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে স্থানীয় বখাটে যুবকরা তেজগাঁও মহিলা হোস্টেলে হামলা চালায়। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা এলাকায় ৪/৫ টি গাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় থানায় পুলিশের এসআই আব্দুল বারেক বাদী হয়ে ৩জনসহ অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ৩জনকে গ্রেফতার করে। তারা হলো-হারুন, ফজর আলী ও মোস্তফা কামাল।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, গত মঙ্গলবার বিকালে পলিটেকনিক মহিলা হোস্টেলের সামনে রিকশা যাত্রী এক ছাত্রী ইভটিজিংয়ে শিকার হন। ওই ছাত্রী বিষয়টি তার বন্ধুদের জানায়। সন্ধ্যায় ৪০/৫০ জন ছাত্র একত্রিত হয়ে বেগুনবাড়ির ১২ নম্বর গলিতে ইভ টিজিং করার অভিযোগে এক যুবককে আটক করে মারধর করে। এসময় স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করলে ছাত্রদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেস্টা করে। পুলিশ জানায়, বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা লতিফ ছাত্রাবাস থেকে প্রায় দুইশ ছাত্রকে জড়ো করে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বেগুনবাড়ি ১২ নম্বর গলিতে হামলা চালায়।
এসময় স্থানীয় বখাটে যুবকরা মহিলা হোস্টেল লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ তখন স্থানীয় যুবকদের টিয়ারশেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এ সময় ছাত্ররা পুলিশ লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের এসআই ফরিদ, এসআই বারেক, এএসআই সুব্রত ও কনষ্টেবল জুলকার আহত হন। পরে পুলিশ ছাত্রদের লক্ষ্য করে শর্টগান দিয়ে গুলি ছোঁড়ে। এতে ১০ জন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়। তাদেরকে প্রথমে শমরিতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করার জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ টিয়ার শেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বাধ্য হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩জনকে আটক করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন