ইসলামী কর্মতৎপরতা
ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বার বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, আবারো বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নজিরবিহীনও গণবিধোরী। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও জনগণের প্রতি দরদ না থাকায় জনগণের রক্ত চুষে খেতে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুযোগ করে দিতেই বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিশ্ব বাজারে বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণ কমেছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম পূর্বের তুলনায় অনেক কম সে হিসেবে বাংলাদেশে বিদ্যুতের দামও কমানো উচিৎ। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে জনগণের উপর জুলুম করা হবে। এমনিতেই দেশে চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। আবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হলে জনজীবনের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। নতুনভাবে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, কয়েক দফা বন্যায় যখন খাদ্য সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে সে সময় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়বেন। জনগণের প্রতি সরকারের কোন দায়বদ্ধতা নেই বলেই জনগণকে বার বার নিষ্পেষণ করছে।
তিনি বলেন, এমনিইতো জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। তারপর আবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ এবং নিম্ন আয়ের মানুষের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশার সীমা থাকবে না। তাই জনগণের দিকে লক্ষ্য করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন।
ইসলামী সম্মেলন
জৈনপুরী পীর সাহেব আল্লামা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী বলেছেন, রাসূল (সা.) চলমান রবিউল আউয়াল মাসে ধরায় আগমনের কারণে এ মাস এবং ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে বরকতময় ও আল্লাহর মহা নেয়ামতপূর্ণ। যারা মিলাদুন্নবীর বিরোধীতা করে তারা জাহেল ও ভাওতাবাজ। এদের কথা ও কাজ এক নয় এরা টাকা পেলে সব বেদায়াত বৈধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, কারো জন্ম (মিলাদ) না হলে তার সীরাত হতে পারে না। ঐতিহাসিক কিতাবসমূহে কোথাও সীরাতের কথা বলা নেই। সুতরাং মিলাদ যার সীরাতও তার। এরপরও এরা ঈদে মিলাদুন্নবীর হিংসার বশবর্তী হয়ে বিরোধীতা করে।
তিনি বলেন, মহান আল্লাহ তা’য়ালা হিংসাকে দশভাগ করে নয় ভাগহিংসা দিয়েছেন আলেমদের উপর। আর মত্র একভাগ দিয়েছে আম মানুষের উপর। সুতরাং যারা ওয়াজ করেন, তাদের অধিকাংশের মাঝেই হিংসা বিদ্যমান। এই হিংসার কারণে এরা ইদে মিলাদুন্নবীর বিরোধীতা করবেই। এসব ওয়াজিনদের চিহ্নিত করে নিজেদের ঈমান আমল রক্ষায় এদের পরিত্যাগ করতে হবে। একই কারণে এরা রাসূল সা. এর জন্মদিনের বিষয়েও বেদআত খুঁজে। সরলপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে চির জাহান্নামী হচ্ছে। দুই লাখ হাদীস মুখস্ত করা আল্লামা জালাল উদ্দিন সূয়ূতী রহ. তাঁর রচিত বইয়ে কুরআন হাদীসের ভিত্তিতে ঈদে মিলাদুন্নবীকে সম্পূর্ণ জায়েজ বলেছেন।
পীর সাহেব মুমিনের বিষয়ে বলেন, সহীহ ঈমান-আকীদা ও আমলদার মুসলমানরাই প্রকৃত মুমিন। তিনি বলেন, আমল ছাড়া পূর্ণ ঈমান থাকলে আজাব ভোগ করে বেহেশতে যাওয়া যাবে। কিন্তু ঈমান না থাকলে আমল দিয়ে বেহেশতে যাওয়া যাবে না। যারা সহীহ ঈমান ও আমল ওয়ালা তারাই বেহেশতের যোগ্য উত্তরসুরি। তিনি বলেন, একজন মুসলমানের ঈমান পরিপূর্ণ হওয়ার তিন বৈশিষ্ট হচ্ছে তারা ঈমানের স্বাদ পাবে। নিজেদের জীবনের চেয়ে আল্লাহ ও রাসূলকে অধিক ভালবাসবে। একজন মুসলমান অন্য একজন মুসলমানকে আল্লাহওয়ালা হওয়ার কারণে ভালবাসবে। প্রকৃত মুমিনের মন কুরআনের আয়াতে বিগলিত হবে।
জিকিরের প্রশ্নে পীর সাহেব বলেন, মুখে আওয়াজী জিকিরকে আল্লাহ কোথাও জিকির বলেননি। মূলত ইসলামের সকল মৌলিক ইবাদতই আল্লাহর জিকির। যেমন তিলাওয়াত, নামাজ, হজ্ব, তওয়াফ, সাফা-মারওয়া সায়ী করাও জিকিরের অংশ। প্রধান জিকির হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার বিধান কায়েম করা। ওলামায়ে কেরাম, পীর-মাশায়েখগণ ভক্ত-মুরিদদেরকে এই জিকিরের কথা বলেন না। এই কারণেই ভক্ত ও মুরিদরা তাদেরকে নোট (টাকা) দেয় কিন্তু নির্বাচনে ভোট দেয় না। ভোট দেয় রাজনৈতিক নেতাদেরকে।
রাজধানীর জুরাইন পোস্তগোলা বালুর মাঠ এলাকায় পোস্তগোলা এলাকাবাসীর উদ্যোগে ১২ দিনব্যাপী ঈদে মিলাদুন্নবী মাহফিরে ১১তম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
আল কোরআনের কাব্যানুবাদ
মুহিবুর রহমান খান
সূরা আ’রাফ
মক্কায় অবতীর্ণ : আয়াত ২০৬ রুকু : ২৪
আশ্রয় চাহি আল্লাহর, যেন শয়তান দূরে রয়,
(শুরু করিলাম) আল্লাহর নামে পরম করুণাময়
৯২। মনে হল, যারা ‘শুয়াইব (নবী) কে করেছে অবিশ্বাস,
কখনও যেন তাহারা সেখানে করে নাই বসবাস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন