সৌদি আরবের সীমান্ত ঘেষা জিজান এলাকায় সড়ক দুঘটনায় ১০ বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫ জন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক। শনিবার সকালে জেদ্দা থেকে ৮০০ কিলোমিটার দুরের ইয়েমেন সীমান্ত এলাকায় এদুঘটনাটি ঘটেছে।
গতকাল গতকাল রোববার জেদ্দা কন্সুলেট অফিস থেকে দুঘটনার সংবাদ জানানো হলেও নিহত ও আহতদের নাম ঠিকানা না উল্লেখ করেই মন্ত্রনালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, দুঘটনার কারণ অনুসন্ধানে দুজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে রওয়ানা হয়েছেন।
জেদ্দা কন্সুলেট জেনারেল অফিসের কর্মকর্তা মোস্তফা জামিল খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শনিবার সকাল ৭টার দিকে একটি ট্রাকে করে ২০ জন বাংলাদেশী বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্য রওয়ানা হন। গাড়িটি ওয়েস্টার্ণ প্রভিঞ্চ অফ জিজান এলাকায় যাওয়ার পরই হঠাৎ পেছনে থেকে একটি ভেহিকেল জোরে ধাক্কা দেয়। এতে চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেন। ঘটনাস্থলে গাড়িতে থাকা ৮ জন নিহত হন। আশংকাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে আরো ২জনকে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। নিহতরা সবাই বাংলাদেশী বলে নিশ্চিত করা হলেও আহত কতজন রয়েছেন তা উল্লেখ নেই। তবে চিঠিতে বলা হয় দুঘটনাস্থল জেদ্দা থেকে ৮০০ কিলোমিটার দুরে। জিজান শহরটি হচ্ছে সৌদি ও ইয়েমেন সীমান্ত এলাকায়।
সৌদি আরবের জেদ্দা কনসাল জেনারেল এফএম বোরহান উদ্দিন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, একটি লরিতে করে বাংলাদেশীরা কাজে যাচ্ছিলেন। তখন পেছন থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে এই দুঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল ইয়েমেন সীমান্তের কাছে হওয়ায় জায়গাটি বেশ দুর্গম। আমরা সেখানে কর্মকর্তা পাঠিয়েছি। তারা গিয়ে হাসপাতাল ও পুলিশের সাথে দেখা করে নিহত ও আহতদের নাম জানাবে এবং দুঘটনার কারণ জেনে মামলা দায়ের করবে।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্র নালয়ের ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক জহিরুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, কিভাবে আসলে ঘটনাটি ঘটলো সেটি জানার পরই বিস্তারিত জানানো যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন