বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্র:- এক লোক একা একা ফরয নামায পড়ছিলো; এমন সময় ঐ নামাযেরই জামাআত কায়েম হলো; তখন তাকে কী করতে হবে?
উ:- ফজর এবং মাগরিব নামাযে দ্বিতীয় রাকাতের সিজদাহ না করে থাকলে নামায ছেড়ে দিয়ে জামাআতে এসে শামিল হবে। আর দ্বিতীয় রাকাতের সিজদাহ করে ফেলে থাকলে ঐ নামাযই পূর্ণ করবে। আর যোহর-আসর-এশার নামাযে দ্বিতীয় রাকাতের সিজদাহ না করে থাকলে নামায ছেড়ে দিয়ে জামাআতে এসে শামিল হবে। আর যদি দ্বিতীয় রাকাতের সিজদাহ করে ফেলে থাকে তাহলে মধ্যবর্তী বৈঠক করে সালাম ফিরিয়ে ফেলবে এবং জামাআতে এসে শামিল হবে। যাতে ঐ দুই রাকাত নফল হিসাবে গণ্য হয়। আর যদি যোহর-আসর ও এশার তিন রাকাতের সময় জামাআত কায়েম হয় এবং সে তৃতীয় রাকাতের সিজদাহ না করে থাকে তাহলে নামায ছেড়ে দিয়ে জামাআতে শামিল হবে। আর তৃতীয় রাকাতের সিজদাহ করে ফেলে থাকলে নিজের নামাযই পূর্ণ করবে। এরপর জামাআতের সাথে নামায পড়লে নফলের সওয়াব পাবে। তবে আসর-মাগরিব এবং ফজরের নামাযের ক্ষেত্রে নিজের নামায শেষ করার পর আবার জামাআতে শামিল হওয়া ঠিক হবে না। কারণ আসর এবং ফজরের পর নফল নামায নেই। আর মাগরিব নামাযের পর এইজন্যে পড়া যাবে না যে, মাগরিব নামায তিন রাকাত। আর তিন রাকাত বিশিষ্ট কোন নফল হয় না।
প্র:- উক্ত সুন্নতগুলো কখন আদায় করা যাবে?
উ:- ফরয নামাযের পর আদায় করা যাবে। তবে ফজরের সুন্নত সূর্যোদয়ের পর আদায় করা উত্তম। আসর এবং এশার সুন্নত মুআক্কাদাহ নয়, তাই এগুলোর কাযা করতে হবে না। -মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন