শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

সিরিয়ায় বিমান হামলায় আইএসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড কাদুলি নিহত

জীবিত আটক করতে ৭ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হাজী ইমাম নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার মার্কিন কর্তৃপক্ষ তার নিহত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছে। এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, গত গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ায় পরিচালিত মার্কিন বিমান হামলায় আবদুল রহমান মুস্তফা আল-কাদুলি ওরফে হাজি ইমাম নিহত হয়েছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আল-কাদুলিকে জীবিত আটক করতে চেয়েছিলেন তারা। মার্কিন কর্তৃপক্ষ এজন্য ৭ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল। কিন্তু হেলিকপ্টার থেকে তার গাড়ি বহরে গুলিবর্ষণ করা হলে তিনি নিহত হন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কাদুলিকে আইএসের জ্যেষ্ঠ নেতা বলে উল্লেখ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার জানিয়েছেন, তার নিহত হওয়াটা আইএসের জন্য এক বড় আঘাত। ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে আইএস নেতাদের নিঃশেষ করবো। কার্টার আরও বলেন, ওই সিনিয়র নেতা না থাকায় ইরাক এবং সিরিয়ার ভেতরে বা বাইরে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে আইএসের সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। চলতি মাসে এ নিয়ে আইএসের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ নেতা নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হলো। এর আগে আইএসের কথিত যুদ্ধমন্ত্রী নিহত হয়েছিলেন। কয়েকদিন আগে আইএস-এর সামরিক শাখার প্রধান আবু ওমর নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে আইএস। একের পর এক জ্যেষ্ঠ নেতা নিহত হওয়ায় আইএস চাপের মধ্যে রয়েছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
ইরাকি তুর্কমেন বংশোদ্ভূত আইএসের সিনিয়র নেতা কাদুলি ১৯৫৭ অথবা ১৯৫৯ সালে ইরাকের মসুল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৪ সালে আবু মুসাব আল-জারকাওয়ির নেতৃত্বাধীন আল-কায়েদায় যোগ দেন। ২০১২ সালে ইরাকি কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি আইএসের খাতায় নাম লেখান। তাকে স্বঘোষিত খলিফা ওমর আল বাগদাদীর পরবর্তী উত্তরসূরী মনে করা হচ্ছিল। ২০১৪ সালে বিমান হামলায় আইএসের নেতা আবু বকর আল বাগদাদি আহত হওয়ার পর সাময়িকভাবে আইএস প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন হাজি ইমাম। এদিকে, সম্প্রতি রুশ যুদ্ধ বিমানের সহযোগিতায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর আক্রমণে ঐতিহাসিক পালমিরা নগরী থেকেও পিছু হটেছে আইএস। গত বছর পালমিরা দখল করে আইএস। সেখানে প্রাচীন অমূল্য পুরাকীর্তি ধ্বংস ও লুটপাট করা হয়। তারা নগরীর প্রধান প্রতœতত্ত্ববিদসহ অনেক মানুষকে হত্যা করে। বিবিসি, আল-জাজিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন