চলতি বছরে মনোনীত ৩১ শিক্ষার্থী
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ¯œাতক ও ¯œাতোকোত্তর পর্যায়ে ভর্তির জন্য ৩ টি দেশের ৩১ বিদেশী শিক্ষার্থীকে মনোনীত করেছে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত বিভাগে ভর্তি হওয়ার জন্য যেসব শিক্ষার্থীদের কাছে অফার লেটার পাঠানো হয়েছে তাদের একজন ইতোমধ্যে মধ্যে ভর্তি নিশ্চিত করেছেন। তবে বিদেশী ভর্তিচ্চু শিক্ষার্থীদের মধ্যে শতকরা ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীই দেশের এই সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে ভর্তি হবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ^বিদ্যালয় একাডেমিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, ¯œাতক পর্যায়ে এই শিক্ষা বর্ষের জন্য ১৭ জন এবং ¯œাতোকোত্তর পর্যায়ে ১৪ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ৩১ বিদেশী শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক বাছাই শেষে তাদেরকে মনোনীত করা হয়। প্রায় ৪৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এদের মধ্যে প্রথম বর্ষের সম্মান শ্রেণিতে নেপাল থেকে ১৬ জন, জর্ডান ১ জন ও মাস্টার্সে ভর্তির জন্য সোমালিয়ার ১৪ জন শিক্ষার্থী আছেন। বিদেশী শিক্ষার্থীরা বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স বিভাগ, ফিশারিজ বিভাগ ও এগ্রোনোমি এন্ড ক্রপ সায়েন্স বিভাগেই ভর্তি হওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছেন ২১ শিক্ষার্থী। বাকি শিক্ষার্থীদের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অর্থনীতি ও লোক প্রশাসন বিভাগে ৩ জন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ ও ফাইন্যান্স বিভাগে ২ জন, প্রকৌশল অনুষদের কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইলেক্ট্রনিক এন্ড ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ২ জন, বিজ্ঞান অনুষদের ফার্মেসি ও গণিত বিভাগে ৩ জনকে মনোনীত করা হয়।
বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভর্তি সম্পর্কে বিশ^বিদ্যালয় একাডেমিক শাখার প্রধান উপ-রেজিস্ট্রার এ এইচ এম আসলাম হোসেন বলেন, ঐসব শিক্ষার্থীদের আবেদন পত্র সংশ্লিষ্ট অনুষদে মূল্যায়নের পরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নো-অবজেকশন সনদপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে ভর্তি চূড়ান্ত করা হবে। বর্তমানে তাদের সাময়িকভাবে ভর্তি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভর্তি অফার লেটার সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ এম্বেসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। যাদের মধ্যে সান্নি কুমার দাস নামের একজন নেপালী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সমাপ্ত হবে বলে জানান। তবে নিশ্চিত করে তারিখ উল্লেখ করেননি তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত সেশনে (২০১৬-১৭) ভর্তির জন্য ২৯ বিদেশী শিক্ষার্থীকে মনোনীত করা হয়। যেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৩৪ জন। তাদের মধ্যে ১৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার তথ্য জানা যায়। এবছর আবেদনের সংখ্যা ছিল ৪৫ জনের কাছাকাছি। যাদের থেকে ৩১ জনকে বাছাই করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন