সেই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তা অতিক্রম করবে, এটা তোমাদের প্রতিপালকের অনিবার্য সিদ্ধান্ত।’ (সূরা মরিয়ম, আয়াত ৭১) আমি জানি না যে, জাহান্নামে পেশ করার পর ফিরে আসবো কিভাবে? মুসলমানরা বললেন, আল্লাহ তায়ালা সালামতির সাথে আপনাদের সঙ্গী হোন। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের হেফাজত করুন এবং গনীমতের মালসহ আমাদের কাছে ফিরিয় আনুন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রওয়াহা রা. তখন এই কবিতা আবৃত্তি করেন, ‘রহমানের কাছে মাগফেরাতের জন্যে মগয বের করা তলোয়ারের আঘাতের জন্যে বর্শা নিক্ষেপকারীর হাত, অস্ত্র কলিজা চিরে ফেলা আঘাত করার শক্তি দানের জন্যে সাহায্য চাই।
আর রাহীতুল মাখতুম, মূল : আল্লামা সফিউর রহমান মোবারকপুরী, অনুবাদ: খাদিজা আখতার রেজায়ী
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
প্র:- মুক্তাদীদের অপছন্দ সত্তে¡ও কোন ইমামের ইমামতি করা কেমন?
উ:- ধর্মীয় কোন কারণে কোন ইমামের প্রতি অসন্তুষ্টি বা অনাস্থা সৃষ্টি হলে, তার জন্যে ইমামতি করা মাকরূহে তাহরীমী। তবে সামাজিক, রাজনৈতিক বা বৈষয়িক কারণে ইমামের প্রতি অসন্তুষ্টি গ্রহণযোগ্য নয়।
প্র:- যদি কোন নামাযের শেষে মুক্তাদীগণ বলেন, তিন রাকাত; আর ইমাম বলেন, চার রাকাত হয়েছে, তবে কার কথা গ্রহণযোগ্য হবে?
উ:- এমতাবস্থায় ইমাম যদি নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন যে, চার রাকাতই হয়েছে, তবে তার কথাই গৃহীত হবে। আর যদি তার মধ্যে কিছুটা সন্দেহ-সংশয় থাকে যে, চার না তিন, তাহলে মুক্তাদীগণের মতামতের ভিত্তিতে পুনরায় চার রাকাত নামায জামাআতের সাথে আদায় করে ফেলতে হবে।
প্র:- এক্ষেত্রে মুক্তাদীগণ যদি বিভক্ত হয়ে যান। কিছুসংখ্যক বলেনÑচার রাকাত আবার কিছুসংখ্যক বলেন, তিন রাকাত হয়েছে; তাহলে কী করতে হবে?
উ:- এমতাবস্থায় যাদের সংগে ইমাম একমত হবেন, তাদের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হবে। চাই সেভাগে একজনই হোক না কেন। (আলমগীরী)
প্র:- এক মুক্তাদীর যদি পূর্ণ একীন হয় যে, ইমাম তিন রাকাত পড়েছেন, আর সকল লোক এবং ইমামের মনে সন্দেহ হয় যে, তিন নাকি চার রাকাত, তাহলে কী করা হবে?
উ:- এই অবস্থাতে ঐ এক মুক্তাদীর একীনের কারণে এবং পরস্পর বিরোধীতা থেকে বাঁচার জন্যে পুনরায় নামায আদায় করে ফেলাই উত্তম।
-মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন