স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা ও মরক্কোর বন্দরগুলোতে সরাসরি জাহাজ চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একটি প্রতিনিধিদল দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান ও কেপটাউন এবং মরক্কোর তানজের মেড পোর্ট পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে দেশে ফিরে গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি। মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান ও কপটাউন এবং মরক্কোর তানজের মেড পোর্ট পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের পায়রা বন্দর উন্নয়নে অনেক বেশি কাজে লাগবে। আমরা হতবাগ হয়েছি মরক্কোর তানজের মেড সমুদ্র বন্দর প্রতিষ্ঠার মাত্র দশ বছরে বিশ্বের ৫১তম সমুদ্র বন্দরে উঠে এসেছে। আমাদের কৌতূহল ছিল এটা কিভাবে সম্ভব। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান ও কেপটাউন এবং মরক্কোর তানজের মেড পোর্টের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল করবে। এরই সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা ও মরক্কোর বন্দর কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দরকে কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেবে। এ লক্ষ্যে তিনটি দেশের বন্দর কর্তৃপক্ষ সমঝোতা স্মারকপত্র শিগগিরই স্বাক্ষর করবে।
মন্ত্রী বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চট্রগ্রাম বন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে এবং তা পুরো সপ্তাহ জুড়েই। সেখানে শ্রমিকদের মাঝেও কোনো অসন্তোষ নেই। আমরা চট্রগ্রাম বন্দর উন্নয়নে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। মন্ত্রী বলেন, চট্রগ্রাম বন্দরে আমরা হেলিকপ্টার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনেকে হয়তো বলবেন এটা বিলাসিতা। না, তা নয় এটা মূলত অনেক সময় হাজাজের চালকদের দ্রুততম সময়ে হাজাজ পরিচালনার জন্য পৌঁছতে হয়। আবার অনেক সময় জাহাজের লোকজন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন, এ জন্য এ হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, আমি বলতে চাই, অনেকে বলেন আমাদের পোর্টগুলো দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। এটা সঠিক নয়। ২০১৫ সালে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে ২০ লাখ ২৪ হাজার ২০৭টি। ২০১৬ সালে এটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৯টিতে এবং ২০১৭ সালে এটা এসে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ২০২ টিতে। ফলে বিষয়গুলো এখানেই পরিষ্কার। এবারের সফরে প্রতিনিধিদলে ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক, নুরুল ইসলাম সুজন, হাবিবুর রহমান ও বেগম মমতাজ বেগম অ্যাডভোকেট ও বিভাগীয় কর্মকর্তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন