বাকৃবি সংবাদদাতা : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছনার অভিযোগ এনেছেন ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। ঘটনাটি এতদিন গোপন থাকলেও থানায় জিডি এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা গবেষণা কমিটি ও রেজিস্ট্রারকে লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়া হলে তা সকলের সামনে চলে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মার্চ ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুতকরণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ফলাফল শিটে এক শিক্ষার্থীর নাম্বার ইচ্ছাকৃতভাবে যোগ না করেই সই করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ওই শিক্ষার্থী থিসিস নকল করে জমা দিয়েছে। সই না করায় কমিটির অন্যান্য সদস্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল হক, অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ ও অধ্যাপক মো. সিদ্দিকুর রহমান তখন আপত্তি জানান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগবিত-া শুরু হয়। একপর্যায়ে নূরুল হক আনোয়ার হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। চেয়ার তুলে ও জুতা খুলে তেড়ে আসেন বলেও আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির সমন্বয়ক এবং রেজিস্ট্রারকে দুটি অভিযোগপত্রও দেন আনোয়ার হোসেন। এ ঘটনায় তাঁকে নানাভাবে হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলে ওই শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ কোতয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন যা ওই থানার উপ-পরিদর্শক এনামুল হক নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. নূরুল হক বলেন, কিছুটা বাগ্বিত-া হয়েছে। আনোয়ারই তির্যকভাবে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সাথে কথা বলছিলেন। বাকি সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
কমিটির আরেক সদস্য সিদ্দিকুর রহমান বলেন, থিসিস নকল কি-না তা ডিফেন্স দেয়ার সময় ধরতে হবে এবং প্রমাণ দিতে হবে। চূড়ান্ত ফলাফল শিট তৈরির সময় তা ধরলে হবে না। বিভাগীয় প্রধান ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই ওইসব করছেন।
এ বিষয়ে কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুর রশিদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে কেন জিডি করা হলো আমি জানি না। পুরো ঘটনাটি আমি ভিসিকে জানিয়েছি। কোন নির্দেশ আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন