গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির সমালোচনা করে বলেছেন, ৭ দিন আগে সম্মেলন করেও বিএনপি এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি। রাজনৈতিক দল হিসেবে এটি তাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। তারা কমিটি গঠনের জন্য লন্ডনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ সব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরিতে আওয়ামী লীগ নেতারা জড়িত বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা যখন যা খুশি তাই বলে যাচ্ছেন। আসলে তাদের কথা অরণ্যে রোদনের মতো। বাস্তবতার সাথে কোন মিল নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এমনকি সব ধরনের ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৪৫ বছরে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেলে বিশ্বের ১০ গ্রেড লিডারদের মধ্যে অবস্থান করে নিয়েছেন। এটি আমাদের বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন ও অহংকার। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর সেতু পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপ। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৫ বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। মন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হবে। এ নিয়ে কোন ধরনের কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই।
এর আগে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে আব্দুর রহমান এমপি, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি আলহাজ্ব শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজকে সাথে নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপর নেতৃবৃন্দ সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকার পর পবিত্র ফাতেহাপাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন। এ সময় সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান চৌধুরী, সওজের গোপালগঞ্জ জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কবির উদ্দিন আহম্মেদ, গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সমীরান রায়, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন, এস.এম আক্কাস আলী, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার খায়ের, পৌর মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মীর্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, সাবেক পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আসলাম সরদার, পুলিশ, সড়ক বিভাগ, প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, নির্মাণ শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক, শ্রমজীবী, পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ ছাড়া সারাদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থক ও বঙ্গবন্ধু অনুরাগীরা সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে প্রিয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন।
রাত ১২ টা ১ মিনিটে স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে টুঙ্গিপাড়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে স্বাধীনতা উৎযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমান, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মোঃ এমরান হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন, গোপালগঞ্জ পৌরসভা, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক, শ্রমজীবী, পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের বেদী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন