বিশেষ সংবাদদাতা : ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপির ‘গরজ নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যার যার প্রতীক নিয়ে ইউপি নির্বাচন হচ্ছে। সেই ইলেকশনেও তাদের খুব একটা গরজ দেখছি না। কেমন যেন একটা ভাসা ভাসা ভাব। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শুধু বক্তৃতা বিবৃতিই দিয়ে যাচ্ছে। শুধু অভিযোগ করে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের কর্মকা-টা কোথায়? শুধু নালিশ করা। তো নালিশ করে কী হচ্ছে? নালিশ করে বালিশ পায়, ভাঙা জুতার বাড়ি খায়।
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ক্ষমতা মানে নিজের ভাগ্য গড়া না। ক্ষমতা মানে আমাদের কাছে দেশের ভাগ্য গড়ে তোলা। মানুষের কল্যাণ করা, যেটা জাতির পিতা আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ মার্চের ভাষণেও বলেছেন শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা। আমরা সেই শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আজ যখন আমরা স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি, তখন নানাভাবে আমাদের সরকারকে হেয় করা কিংবা ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে, এটা স্বাভাবিক। কারণ ওই পরাজিত শক্তিদের দোসর, পঁচাত্তরের খুনি কিংবা যুদ্ধাপরাধীদের দোসর এমনিতেই থেমে যাবে না। তারা সব সময় সক্রিয় থাকবে, এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। তাদের মোকাবিলা করেই আমাদের চলতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি। শত প্রতিবন্ধকতা শুধু দেশের মধ্যে না, ভেতরে-বাইরে অনেক জায়গা থেকেই বারবার বাধা আসে। সেই বাধা অতিক্রম করেই এগিয়ে যাচ্ছি। উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। নীতি ও আদর্শের কারণেই এ সবকিছু তিনি পারছেন বলে বক্তব্য দেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করে তাকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার মুখে হাসি থাকবে কীভাবে? তার যে পেয়ারের লোকগুলোর একে ফাঁসি হচ্ছে, একে একে যুদ্ধাপরাধে তাদের শাস্তি হচ্ছে এবং জনগণের সমর্থন তাদের প্রতি নাই। যখন মানুষ পুড়েছে তখন তার মুখে হাসি ছিল। তখন হয়তো আপনারা দেখতে পাননি। কারণ নিজেই নিজেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন।
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের কথা উল্লেখ করে বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলে গেছেন কী কী করতে হবে। দেশের মানুষ তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” পড়লে জানা যাবে। রাজনীতি করতে হলে ইতিহাস জানা খুব দরকার। বইটি পড়লে দেখা যাবে, বঙ্গবন্ধু কীভাবে ধাপে ধাপে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন।’’ তিনি বলেন, ওই ভাষণে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানিরা ধরতে পারেনি। তিনি এমনভাবে দিয়েছিলেন, পাকিস্তানিরা বুঝতে না পারলেও বাঙালি জাতির কাছে ঠিকই তথ্য পৌঁছে গেছে।
সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা মাথা উঁচু করে চলবো। কারো কাছে মাথানত করবো না। ভিক্ষা করবো না। নিজেদের আয়-সামর্থ্য দিয়ে চলবো বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নিজের পয়সায় ডাল আর মোটা চালের ভাত খাবো, ভিক্ষা করে বিরানি খাবো না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার জন্য এতো আত্মত্যাগ, এতো রক্ত আর কোনো জাতি দেয়নি- যা বাঙালিকে দিতে হয়েছে। এতো রক্তদান বৃথা যেতে পারে না, বৃথা যেতে দেবোও না। উন্নত-সমৃদ্ধ ও সুখী-সুন্দর দেশ গড়ে আমরা স্বাধীনতার মর্যাদা রাখবো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলে এ উন্নত দেশ গড়ার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেশবাসীকে আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার জন্য ১৯৪৮ সালেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাভাষাকে রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা অর্জনের জন্য ভাষা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। এরপর থেকেই ধাপে ধাপে আন্দোলন-সংগ্রামের পথ বেয়ে বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামের দিকে নিয়ে গিয়েছেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন করে দিয়েছেন।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের ঐতিহাসিক বিজয় ও সরকার গঠনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ দল ছেড়ে দেয় মন্ত্রিত্বের লোভে আর বঙ্গবন্ধু দল গঠনের জন্য মন্ত্রিত্ব ছেড়ে উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন।
তিনি বলেন, বায়ান্ন সালে মুক্তি পেতে না পেতে ১৯৫৪ সালে, ১৯৫৮ সালে গ্রেফতার হয়েছেন বঙ্গবন্ধু। কতোবার গ্রেফতার হয়েছেন, কিন্তু তার পরিকল্পনা থেকে সরে আসেননি। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণা করলে তা পুরো জাতির মাঝে আলোড়ন তোলে। এ ছয় দফা ছিলো বাঙালির মুক্তির সনদ। ছয় দফা দাবি আদায় করতে গিয়ে আমাদের অনেক রক্ত দিতে হয়েছে।
শেখ হাসিনা জানান, ১৯৬৯ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত লন্ডনে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করার প্রস্তুতি তিনি সে সময়ই নিয়েছেন। যুদ্ধ হলে আমাদের দেশের মানুষ কোথায় প্রশিক্ষণ পাবে, গেরিলা যুদ্ধ হলে অস্ত্র কোথায় পাওয়া যাবে, সব তিনি পরিকল্পনা করে এসেছিলেন।
উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু জনগণের ম্যান্ডেট পেয়েছিলেন। তিনি সব সময় একটি নির্বাচন চেয়েছিলেন। কিন্তু অনেকেই এর বিরোধিতা করেছেন। ভোটের আগে ‘ভাত দে’ শ্লোগান দিয়েছেন। এ বিপুল জনপ্রিয়তার অর্জন করে বঙ্গবন্ধু যে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন, পৃথিবীর কোনো নেতা এমন আন্দোলনের ডাক দিতে পারেননি বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলো বলেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বলেই স্বাধীনতার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই ভারতীয় সেনারা দেশে ফিরে যায়। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি আর কখনো ঘটেনি যে, স্বাধীনতা সংগ্রামে সহায়তা দেওয়া মিত্র বাহিনী কোনো দেশ ছেড়ে এতো তাড়াতাড়ি চলে গেছে’- বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভারতীয় সৈন্য আমাদের মিত্রবাহিনী হিসেবে যুদ্ধ করেছে। অনেক সৈন্য মারা গেছে। কিন্তু মিত্রবাহিনী এ দেশে ঘাঁটি গেঁড়ে বসেনি। বঙ্গবন্ধুর মতো স্বাধীনচেতা নেতা ছিলো বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কথা ছিলো মিত্রবাহিনী প্রত্যাহার করা প্রসঙ্গে। তিনি কথা শুনেছিলেন। ‘মাত্র সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন জাতির পিতা। এতো অল্প সময়ে তিনি একটি সংবিধান দিয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠান করেছেন। নির্বাচন করেছেন। স্থলসীমানা চুক্তি, সমুদ্রসীমা আইন করেছেন। ওআইসি থেকে শুরু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন। নগদ টাকা দিয়ে তিনি গ্যাস কিনে নিয়েছিলেন। এতো অল্প সময়ে তিনি এতো কাজ করেছিলেন, কারণ’ স্বাধীনতা ও তা অর্জনের পর দেশ গঠনের বিষয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছিলেন।
বঙ্গবন্ধু জেলে থাকার সময় তার অনুপস্থিতিতে আমার মা দল ও নেতাকর্মীদের আশ্রয় ও দিক-নির্দেশনা দিতেন উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, নীরবে-নিভৃতে আমার মা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এদেশের মুক্তির জন্য অবদান রেখে গেছেন। স্বাধীনতার পেছনে আমার মায়ের বিরাট অবদান ছিলো। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা, সেসব দেখা শোনা করার পাশাপাশি আন্দোলন সংগঠিত করার কাজও তিনি করেছেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সামরিক শাসনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের কোর্ট মার্শাল ও ফাঁসির নামে হত্যা করেন। অনেককে ঠা-া মাথায় হত্যা-গুম করেন। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দেন। ফলে এদেশের একটা প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারেনি।পঁচাত্তরের পর এদেশে ১৮-১৯টি ক্যু হয়েছে। হত্যা-ক্যু-দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশে একটা অরাজকতা আর বিভীষিকার রাজত্ব গড়ে তোলা হয়। শ্বাসরুদ্ধকর আতঙ্কের পরিবেশে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল।
ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ ঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবিআইএন চুক্তির সফল বাস্তবায়নের পর ভুটান ও এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত পেমা চোডেনকে বলেন, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল (বিবিআইএন) চুক্তি বাস্তবায়নের পর এখন যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটা নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ অঞ্চলের ব্যবসা ও বাণিজ্যের আরো বিস্তারের এখনই সময়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, পেমা চোডেন গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে ভুটানের একটা বিশেষ স্থান রয়েছে। তিনি বলেন, দু’দেশের ক্ষেত্রে অনুসন্ধান করে দেখার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনাময় খাত হচ্ছে বিদ্যুৎ সেক্টর। তিনি বলেন, ভুটান থেকে বিদ্যুৎ কিনতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য তিনি এ অঞ্চলে বিবিআইএন চুক্তি সম্পাদনের পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি বলেন, বিবিআইএন দেশগুলো এখন উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ব্যাপারে একটি কাঠামোর আওতায় একসঙ্গে কাজ করতে এবং তাদের লোকদের মঙ্গলের জন্য তাদের নিজস্ব বাজার সৃষ্টি করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী ভুটানকে সকল প্রকার সহায়তার নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সর্বদা এই স্থলবেষ্টিত দেশটির পাশে দাঁড়াবে। এ প্রসঙ্গে তিনি ভুটান ও নেপাল তার বাণিজ্য ও যোগাযোগের জন্য সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে মর্মে তার দেয়া ইতোপূর্বেকার প্রস্তাবের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। ভুটানকে সর্বদা সহায়তা করার জন্য রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রতিটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য প্রেরণাদায়ক। এ প্রসঙ্গে তিনি বিশেষভাবে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং নারী ও শিশুর উন্নয়নে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বিস্ময়করভাবে বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কথাও উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে তার দেশের বিন্নি ধান আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, তারা বাংলাদেশ থেকে বিন্নি চাল কেনার জন্য দাম নিয়ে আলোচনা করছেন।
সিএজি’র বার্ষিক অডিট রিপোর্ট পেশ ঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বার্ষিক অডিট রিপোর্ট পেশ করেছেন কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মাসুদ আহমেদ। গতকাল রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে সিএজি এই রিপোর্ট পেশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, সিএজি আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে মোট ২৪টি রিপোর্ট পেশ করেন। এর মধ্যে রয়েছে একটি পারফরমেন্স রিপোর্ট, ৬টি বিশেষ রিপোর্ট ও ১৬টি বার্ষিক অডিট রিপোর্ট। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন