জম্মু ও কাশ্মীরের রাজউরি জেলার নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে ক্যাপ্টেনসহ ভারতীয় সেনাবাহিনীর চারজন নিহত হয়েছে। গতকাল রোববারের এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও এক সেনা।
এনডিটিভি এক খবরে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে রোববার পুঞ্চ ও রাজউরি জেলার নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় সেনা ছাউনি ও গ্রাম লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাকিস্তানি সেনারা। গুলিতে চার সেনা নিহত এবং পুঞ্চের একজন কিশোরী ও এক সেনা আহত হন।
সেনাবাহিনী জেষ্ঠ্য একজন কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, কোনো উস্কানি ছাড়াই গতকাল রোববার রাজউরি জেলার ভিম্বর গলি সেক্টরে লাগাতার গোলাবর্ষণ শুরু করে পাক সেনারা। তবে এ ঘটনায় তারাও সমুচিত জবাব দিয়েছেন।
গুলিতে নিহতরা হলেন- হরিয়ানার গুরগাঁও জেলার রানসিকা গ্রামের বাসিন্দা ক্যাপ্টেন কপিল কুণ্ডু (২২), জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা জেলার বাসিন্দা হাবিলদার রোশন লাল (৪২), মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের বাসিন্দা রাইফেলম্যান রাম অবতার (২৭) এবং জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার রাইফেলম্যান শুভম সিং (২৩)।
টাইমস নাউ- এর খবরে বলা হয়েছে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ৮৪টি স্কুল তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজউরি প্রশাসন।
রাজউরির ডেপুটি কমিশনার শহিদ ইকবাল বলেন, সুন্দরবানী থেকে মানজাকোট পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ০-৫ কিলোমিটার জুড়ে যে ৮৪ টি স্কুল রয়েছে তার সবকটি পরবর্তী তিন দিনের জন্য বন্ধ থাকবে।
গত তিন দিনে পুঞ্চকে লক্ষ্য করে এবার দ্বিতীয় বারের মতো হামলা চালালো পাকিস্তানি সেনারা। এর আগে গত সপ্তাহে তারা বালাকোট সেক্টরের প্রায় এক ডজন এলাকায় সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, গত মাসে পাকিস্তানি সেনাদের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ১৩০টি ঘটনা ঘটেছে। গত ১৮ -২২ জানুয়ারির মধ্যে জম্মুতে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে আট বেসামরিক নাগরিক ও ছয় নিরাপত্তা কর্মীসহ কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় ৬০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে এবং কয়েক ডজন বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন