‘আগ্রাসন’ মোকাবেলা করা হবে-মন্ত্রিসভায় পাক প্রধানমন্ত্রী : ভারতজুড়ে বিশেষ সতর্কতা জারি, পাঞ্জাব সীমান্তে এক হাজার গ্রাম থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে
ইনকিলাব ডেস্ক
ভারত কর্তৃক পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ঢুকে সার্জিক্যাল অপারেশনের পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের হামলায় ১৪ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এ দাবি করেছে পাকিস্তান। ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত রেখা ‘লাইন অব কন্ট্রোল’ অতিক্রম করে পাকিস্তানি সেনারা এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করছে দেশটি। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর বরাত দিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো এমন খবর জানায়। অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের হামলায় আট ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়েছেন। অপরদিকে, দেশটির বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘জিও নিউজ’র সাংবাদিক হামিদ মীর টক শো’তে দাবি করেছেন, দুই সেক্টরে হামলায় ঘটনার ১৪ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) ইজাজ আওয়ান তার দাবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় চান্দু বাবুলাল চৌহান নামে এক ভারতীয় সৈন্যকে আটক করে হাজতে পাঠিয়েছে পাকিস্তান। তবে তাকে আটকের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। ওদিকে, নয়াদিল্লিভিত্তিক ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, একজন ভারতীয় সৈন্য ৩৭ রাষ্ট্রীয় রাইফেল ও অস্ত্রসহ অসাবধানতাবশত লাইন অব কন্ট্রোল অতিক্রম করে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানি একটি সংবাদমাধ্যম জানায়, নিহত ভারতীয় সেনাদের মরদেহ সীমান্ত রেখার ওপর পড়ে আছে। পাকিস্তানি সেনাদের হামলার ভয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, ‘পাকিস্তানের মিডিয়ায় ভারতীয় আট সেনা সদস্য এবং ভারতীয় এক সৈন্যকে আটকের দাবি করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ওই দাবি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’ গত ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরি সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলা ১৮ ভারতীয় সৈন্য নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্ক চরম উত্তেজনা রূপ নেয়। দু’পক্ষই সীমান্তে সেনা মোতায়েন ও তৎপরতা বাড়িয়েছে। দফায়-দফায় যুদ্ধবিমানের মহড়া চালাচ্ছে পাকিস্তান। আর ভারতও প্রস্তুত করছে তাদের যুদ্ধবিমানকে।
অপর এক খবরে বলা হয়, জম্মু-কাশ্মিরে ভারতের দাবিকৃত ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ কিংবা পাকিস্তানের দাবিকৃত সীমান্ত সংঘর্ষে আট ভারতীয় সেনা নিহত ও এক ভারতীয় সেনা আটক হওয়ার খবরটি নাকচ করে দিয়েছে দিল্লি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, গত বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকস” পরিচালনার সময় ভারতের কোনও সেনা হতাহত হয়নি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে যে ভারতীয় সেনা আটক হওয়ার যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে তিনি আদতে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’ অংশই নেয়নি। সীমান্ত এলাকার সেনা চৌকিতে দায়িত্বরত অবস্থায় অসাবধানতাবশত নিয়ন্ত্রণরেখা পার হওয়ার কারণেই তাকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গত বুধবার রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতের সেনারা সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে। ওই অভিযানে ৯ পাকিস্তানি সেনা ও ৩৫ থেকে ৪০ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিয়ে এমন সামরিক অভিযানকে বোঝানো হয়, যে অভিযানে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর বাইরে আশপাশের অবকাঠামো কিংবা জনসাধারণ হামলার শিকার হয় না বলে দাবি করা হয়। ঘটনার পর থেকে দুই সেনা সদস্য নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে পাকিস্তান দাবি করে আসছে এটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছিল না, সীমান্ত সংঘর্ষ বা আন্তঃসীমান্ত গোলাগুলির ঘটনা ছিল। ওদিকে, পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের এক খবরে বলা হয়, আন্তঃসীমান্ত গোলাগুলির সময় পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ৮ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি গতকাল বৃহস্পতিবার এক ভারতীয় সেনাকে আটক করা হয়েছে। আটক হওয়া সেনা সদস্য রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সদস্য বলেও জানানো হয়।
অন্যদিকে, পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া সে খবরটি ভারতীয় সেনাবাহিনী নাকচ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে রাষ্ট্রীয় রাইপেলসের যে সেনার কথা বলা হয়েছে তিনি আসলে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকেই অংশ নেননি। নিয়মিত টহলের সময় অসাবধানতাবশত নিয়ন্ত্রণ রেখা পার হওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে। ভারতের সেনা সদর দফতর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সীমান্তের ওপাশ থেকে সেনা সদস্য ও জনসাধারণের ভুল করে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে আসার ঘটনা প্রায়ই হয়। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদেরকে ফেরত পাঠানো হয়ে থাকে। তবে পাকিস্তানি মিডিয়ায় আট সেনা সদস্য নিহত হওয়ার যে খবর দেওয়া হয়েছে তা একেবারেই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’ আটক সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভারতীয় সেনা অভিযানের মহাপরিচালক রণবীর সিং কথা বলেছেন বলে সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এদিকে, জাতিসংঘে নিয়োজিত পাকিস্তানি দূত মালিহা লোধি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এক ভারতীয় সেনা গ্রেফতার হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন। ওই সেনা পাকিস্তান ভূখ-ে প্রবেশের চেষ্টা করায় তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান তিনি। তবে পাকিস্তান ভূখ-ের ভেতরে ঢুকে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর খবরটি নাকচ করে দিয়েছেন লোধি। তিনি বলেন, কাশ্মিরে ভারত যে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করছে তা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা করছে।
ভারতজুড়ে বিশেষ সতর্কতা জারি
উৎসব মওসুমে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় ভারতজুড়ে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। সামনে ভরা উৎসবের মওসুম। জনসমুদ্র থাকবে পথেঘাটে। এটা একটা সুযোগ হতে পারে জঙ্গিদের সামনে। কোনওভাবেই যাতে নাশকতার ছায়া না পড়ে এজন্য তৎপর নয়াদিল্লি। গতকাল শুক্রবারই দেশজুড়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নাশকতা রুখতে নিরাপত্তা কঠোর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব রাজ্যকে। সীমান্তবর্তী জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান, পাঞ্জাবসহ অন্য রাজ্যের জন্য ইতিমধ্যে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলি থেকেও সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের।
পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি না করার আহবান যুক্তরাষ্ট্রের
কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারতের কথিত ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ পরিচালনার দাবি প্রত্যাখান করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কিরবি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। জন কিরবি বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ভারতকে সতর্ক করে বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি না করতে।’ ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের উত্তেজনা অবস্থা নিয়ে সতর্ক। দুই দেশের বর্তমান অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’ দুই দেশের হামলা সম্পর্কে জন কিরবি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা উত্তেজনা ছড়াবে। উভয় দেশের জন্য আমাদের বার্তা একই। দুই দেশের উচিত আলোচনা করে হুমকি মোকাবেলা করা এবং উত্তেজনা তৈরি করে এমন পদক্ষেপ না নেয়া।’
‘দুই দেশকে ধৈর্য ও শান্ত থাকার জন্য আমরা আহ্বান করছি। আমরা জানি, ভারত এবং পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস দুই দেশের মধ্যে চলমান সংকট নিরসনে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।’ ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার কাশ্মির নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বা সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এতে ৩৮ পাকিস্তানি জঙ্গি এবং দুই পাক সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ দাবি করেছে, নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাক সেনাদের গোলাগুলির ঘটনায় ১৪ জন ভারতীয় সেনা এবং দুজন পাক সেনা নিহত হয়েছে। সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের উরি সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় ১৮ সেনা সদস্য নিহতের ঘটনায় দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। হামলার পর থেকেই ভারত অভিযোগ করে পাকিস্তান এই হামলা চালিয়েছে। তবে পাকিস্তানের তরফ থেকে এই অভিযোগ প্রথম থেকে প্রত্যাখান করে আসছে। জি নিউজ।
মন্ত্রিসভায় ‘আগ্রাসন’ মোকাবেলার ঘোষণা দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বলেছেন, ভারত সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যদি কোনো ধরনের আগ্রাসন ঘটে তাহলে দেশের জনগণ ও ভৌগোলিক অখ-তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হবে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি গতকাল এ কথা বলেছেন।
নওয়াজ শরীফ বলেন, “যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা আমাদের মাতৃভূমি রক্ষা করব। আমাদের সামরিকবাহিনীর সঙ্গে পুরো জাতি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে।” তিনি আরো বলেন, কাশ্মির হচ্ছে ভারত বিভাগের অসমাপ্ত এজেন্ডা যা থেকে আমরা কখনো দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতে পারি না। ভারতের নৃশংসতা কাশ্মিরের জনণের আকাক্সক্ষাকে দমন করতে পারবে না।”
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির পরিস্থিতির অবনতি ও সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটার পর নওয়াজ শরীফ গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে করলেন। গতকালের বৈঠকে নওয়াজ শরীফ আরো বলেছেন, ভারতীয় আগ্রাসন আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে। তবে ভারতীয় আগ্রাসী পরিকল্পনা মোকাবেলায় পাকিস্তানের নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।
বলিউডে পাকিস্তানী শিল্পীরা, পাকিস্তানের বলিউডি ফিল্ল নিষিদ্ধ
বলিউডে পাকিস্তানি অভিনেতাদের কাজের সুযোগ আপাতত বন্ধ হল। সাম্প্রতিক উরি জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএমপিপিএ) গতকাল শুক্রবার সেই মর্মে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে আইএমপিপিএ। অবশ্য বৃহস্পতিবারই মৌখিকভাবে মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে পাকিস্তানি অভিনেতাদের ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করে।
এদিকে পাকিস্তানেও সিনেমা হল মালিকেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা ভারতীয় ফিল্ম তাদের হলগুলোতে দেখাবেন না। গতকাল পাকিস্তানী সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
হামলার শঙ্কায় গ্রাম ছাড়ছে বাসিন্দারা
নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযানের পর দুই দেশেরই সীমান্তের অনেক জায়গায় সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গ্রামবাসীদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
ভারতীয় পাঞ্জাব রাজ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দশ কিলোমিটার এলাকার এক হাজার গ্রাম থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে গতরাত থেকেই।
কলকাতায় বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার হামলার পরে এখন ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে দেখা দিয়েছে পাকিস্তানের জবাবী হামলার আশঙ্কা।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বা গোটা জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে এধরণের কোনও সরকারি নির্দেশ না দেওয়া হলেও জম্মু এলাকার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি থেকে বহু মানুষ নিজ-উদ্যোগেই সরে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান। এদিকে, পাকিস্তান থেকে বিবিসি’র সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন যে সেখানেও সীমান্তের কিছু এলাকা থেকে মানুষজন সরে যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সূত্র : ডন অনলাইন, জিও নিউজ, এনডিটিভি, ডন, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন