বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। দলের প্রধানের নির্দেশ অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই অনশনে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়ার বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও পুলিশের অনুরোধে দুপুর ১টায় অনশন ভঙ্গ করেন নেতাকর্মীরা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, আমরা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদেরকে ১টার মধ্যে শেষ করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তাই নির্ধারিত ওই সময়ে আমারা কর্মসূচি সমাপ্ত করেছি।
এর আগে বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুরু হওয়া অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, ২০ দলীয় জোটের নেতাসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষও। এদের মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এ বিএম ওবায়দুল ইসলাম, মোর্শেদ হাসান খান, লুৎফর রহমান, ড. মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. মুজাদ্দেদী আলফেছানী অনশনে অংশ নেন। ২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে রয়েছেন এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, লেবার পার্টির একাংশের ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া। বিএনপি সমর্থক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবীও অনশনের কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখছেন। অনশন ভঙ্গ করেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।
এদিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনশন পালন করবেন। তার সাথে কার্যালয়ে রয়েছেন সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, আমিনুল ইসলামসহ অনেকেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন