বিশেষ সংবাদদাতা : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের কপি গতকাল বৃহস্পতিবারও মেলেনি। আগামী রোববার রায়ের কপি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিনও না হলে সোমবার নিশ্চিত বলে জানান তার আইনজীবি। অন্যদিকে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন সাংবাদিকদের গতকাল জানান, বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে সুস্থ আছেন। কারাবিধি অনুযায়ী তাকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া গতকাল নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করলেন বেগম খালেদা জিয়ার ভাগিনাসহ ৫স্বজন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টায় তারা কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে দেখা করার জন্য ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে সোয়া ৬টার দিকে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা শেষে বের হয়ে যান বলে জানান কারাগারের ডেপুটি জেলার আশরাফ উদ্দীন। দেখা করতে আসা স্বজনরা হলেন- বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর শাশুড়ি মোখলেমা রেজা, তার ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ভাগিনা সাজিদ ইসলাম, শাহরিয়ার আখতার ও ভাতিজা মো. আল মামুন।
দিনভর অপেক্ষার পর গতকাল সন্ধ্যায় তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, আজও (বৃহস্পতিবার) রায়ের অনুলিপি পাওয়া যায়নি। আদালতের কর্মচারী তাকে বলেছেন, অনুলিপির অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। এখন তুলনা চলছে। কিন্তু তা শেষ না হওয়ায় অনুলিপি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আগামী রোববার রায়ের কপি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিনও না হলে সোমবার নিশ্চিত। রায়ের কপি পেতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আদালতে ৩ হাজার ফলিও (সরকারি যে কাগজে নকল দেয়া হয়) জমা দেন তিনি। রায়ের অনুলিপি না পাওয়ায় হাইকোর্টে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করা যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন। চিকিৎসক দিয়ে সার্বক্ষণিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তার যেন কোন ধরনের অসুবিধা না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হয়েছে। কারাগারে থাকলেও বন্দিরা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী ৮ মার্চ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এটির কার্যক্রম শুরু হবে। টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে এটা প্রথম শুরু হবে। মূলত বন্দিদের মানসিক প্রশান্তির জন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেন আদালত। বকশি বাজারের আলীয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত ৫নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুামান এ রায় দেন। পরে ওই দিনই তাকে পুরানত কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। ওই কারাগারের দ্বিতীয় তলায় রাখা হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন