শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিএমইটিতে পদোন্নতিতে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রবাসী মন্ত্রীকে অবজ্ঞা : মন্ত্রণালয়ে তোলপাড়

প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে (বিএমইটি) চারজন সহকারী পরিচালককে উপ-পরিচালক পদে ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে নিয়ম বর্হিভূতভাবে পদোন্নতি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখিত পদোন্নতির ক্ষেত্রে গ্রেডেশন লিস্ট এ জ্যেষ্ঠতা মানা এবং রুলস অব বিজনেস-এর তোয়াক্কা করা হয়নি। এ নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র অনুমোদন না নিয়েই ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম শামছুন নাহরের নির্দেশে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জাবেদ আহমেদ বিএমইটি’র চারজন সহকারী পরিচালককে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি দিয়েছে। গত ১৩ মার্চ প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবের নেতৃত্বে অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ ডিপিসি মিটিং করে একই দিন তড়িঘড়ি করে রেজুলেশন স্বাক্ষরপূর্বক একই দিন অফিস সময়ের পরে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের স্বারক নং ৪৯.০০২.০২২.০৬১.০০.০১.২০১১.১৬৩-এ চারজন সহকারী পরিচালকে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হচ্ছেন উপ-পরিচালক বেগম খালেদা পারভীন, মো. সাজ্জাদ হোসেন সরকার, মো. আসাদুজ্জামান মোল্লা ও মো. আবুল কালাম আজাদ। উপ-পরিচালক বেগম খালেদা পারভীন ও মো. আসাদুজ্জামান মোল্লাকে বিএমইটি’র কর্মসংস্থানে এবং মো. সাজ্জাদ হোসেন সরকারকে বর্হিগমন শাখায় ও মো. আবুল কালাম আজাদকে প্রশাসনে বদলি করা হয়েছে। বিএমইটি’র একটি সূত্র জানায়, ইতিপূর্বে রিক্রুটিং এজেন্সি বিনিময় ইন্টারন্যাশনাল ও আমান ওভারসিজের মালিকদ্বয়ের দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক থাকা অবস্থায় বর্তমান অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদকে তার কর্মস্থল থেকে বদলি করেছিলেন। গত ২৭ মার্চ অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ তার দপ্তরে এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, চার জন সহকারী পরিচালকে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনো ঘুষ বাণিজ্য হয়নি। রুলস অব বিজনেস মেনেই এবং বিধিমতোই এসব কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে ইতিপূর্বে সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের স্বাক্ষর নিয়েই পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করা হত। চারজন কর্মকর্তার পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারির আগে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র অনুমোদন নেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। উপ-সচিব কাজী আবেদ হোসেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, চারজন কর্মকর্তার পদোন্নতিতে নিয়ম নীতির বিন্দুমাত্র ঘাটতি ছিল না। এসব পদোন্নতির ক্ষেত্রে ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি আপত্তিকর বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এদিকে, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পুরুষ মহিলা ফিংঙ্গার প্রিন্ট শাখায় দেদারর্সে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি সরেজমিনে সংশ্লিষ্ট শাখায় পরিদর্শনে যান। প্রবাসী মন্ত্রী বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের ফিংঙ্গার প্রিন্টে ঘুষ নেওয়ার সাথে জড়িত কর্মচারী ও আনসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নিদের্শ দেন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিএমইটিতে গণহারে বদলি শুরু হয়েছে। বিএমইটিতে নতুন ডিজি সেলিম রেজা ক’দিন আগে যোগদানের পর কিছু বুঝে উঠতে না পারতেই এসব বদলিতেও মোটা অংকের ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৭ মার্চ বহুল আলোচিত কেনেডি ও একজন মহিলা কর্মকর্তা কয়েকটি বদলির তালিকা তৈরি করে নতুন ডিজির হাতে তুলে দেন। কর্মকর্তাদের মধ্যে বদলিকৃতরা হচ্ছে সহকারী পরিচালক মালিক মো. তৈমুর গোফরান, বির্তকিত সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক আবুল কালাম ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. আশরাফ আলী। কর্মচারীর মধ্যে রয়েছে দয়াল চন্দ্র রাজবংশী, আসলাম আলী, ইকবাল সিদ্দিকী, আবুল হোসেন, মো. আমজাদ হোসেন, মো. মাকসুদ আলম, মো. ফজলুল হক, মো. বাদশা মিয়া, মো. সাজেদুল ইসলাম, সুমিত্র দেওয়ান, মো. নজরুল ইসলাম, তপন কুমান ভদ্র, মো. আবু হানিফ, নুরে আলম সিদ্দিক, জাহানারা বেগম, নার্গিস আক্তার, জনি চৌধুরদী, আজহারুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন