পাকিস্তান ম্যান্ডারিনকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা দেশটির সিনেট মঙ্গলবার অস্বীকার করে বলেছে, তারা চীনের সাথে সহযোগিতার লক্ষ্যে ভাষাটি শেখার ব্যাপারে কেবল উৎসাহিত করেছে।
পাকিস্তান সিনেট মঙ্গলবার টুইটে জানায়, সিপিইসির আওতায় পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা, সহযোগিতার কারণে যেকোনো মূল্যে যোগাযোগ প্রতিবন্ধকতা অবসানের লক্ষ্যে ‘স্ট্যান্ডার্ড চায়নিজ’ হিসেবে পরিচিত সরকারি চীনা ভাষার কোর্স সহজলভ্য করার কথা বলা হয়েছে।
সোমবার পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলে খবর প্রকাশিত হয়, ম্যান্ডারিনকে সরকারি ভাষা ঘোষণা করে আনা একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে পাকিস্তান সিনেট। খবরটি এরপর ইন্ডিয়া টুডে, এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল, ডেইলি নিউজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসসহ বিভিন্ন ভারতীয় প্রচার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়।
ইন্ডিয়া টুডেতে বলা হয়, ভারতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বেইজিং ও ইসলামাবাদের মধ্যকার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার জন্য এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স অব দি সাংহাই একাডেমি অব সোস্যাল সায়েন্সেস-এর রিসার্চ ফেলো হু ঝিইয়ং বুধবার গেøাবাল টাইমসকে বলেন, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে কয়েকটি ভারতীয় মিডিয়া খবরটি প্রচার করেছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের সিনেট খবরটি প্রত্যাখ্যান করার আগে কয়েকটি সামাজিক বিশেষজ্ঞ এমনও বলে, পাকিস্তানকে ‘নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিচ্ছে’ চীন। তারা স্থানীয় ভাষাগুলো অগ্রাহ্য করার জন্যও পাকিস্তানের সমালোচনা করে।
পাকিস্তান সিনেটের পক্ষ থেকে আরেকটি টুইটে বলা হয়, সিনেট চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে ২০ ফেব্রæয়ারি এক সভায় সোমবার চীনা ভাষা নিয়ে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে পাস হওয়া প্রস্তাবটির ব্যাখ্যা দিয়েছে। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন