কর্পোরেট রিপোর্টার : লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) নেতারা জানিয়েছেন প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্প তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না। অথচ সরকার থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশ থেকে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি দ্বিগুণ করা সম্ভব। তাদের দাবি, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রথম ছয় মাসে দেশ থেকে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছিল ১১ কোটি ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ৬০ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। অর্জিত এ সাফল্য লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৪২ শতাংশ বেশি উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এবং সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে রপ্তানির এ পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো সম্ভব। মঙ্গলবার রাজধানীর লালবাগে বিপিপিএস কমন ফ্যাসিলিটি সেন্টার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন তারা। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ ইন্সপায়ার্ড প্রকল্পের আওতায় এই ফ্যাসিলিটি সেন্টার চালু করা হয়। এই সেন্টারের মাধ্যমে অদক্ষ শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ওয়ান-স্টপ সহযোগিতা দেয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মনজুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ ইন্সপায়ার্ড প্রকল্পের পরিচালক সুসেন চন্দ্র দাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকাস্থ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মিনিস্টার কনস্যুলার জুর্জেন হাইম্যান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আবদুল মোমেন ভূঁইয়া, নির্বাহী পরিচালক কাজী রওশন আরা, বিপিপিএস সভাপতি সাখাওয়াত হোসাইন বেলাল, বাংলাদেশ ইন্সপায়ার্ড কর্মসূচির কমপোনেন্ট ১ ও ২বি এর দলনেতা আলি সাবিত, বিপিপিএস সিএফসি সভাপতি নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন