বিশেষ সংবাদদাতা : মাঠ প্রশাসন স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে করে প্রকল্প বাস্তবায়ন যথাসময়ে হচ্ছে না। আবার মাঠ কর্মকর্তাদের এমন বেহাল দশায় ঠিকাদাররাও তাদের কথা শুনছেন না। এমন দুরবস্থা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলীদের। এ নিয়ে পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জানা যায়, জনবল সঙ্কট, প্রকল্পে অর্থ ছাড় সময়মত না হওয়া, নির্বাহী প্রকৌশলীকে ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করে তার সব ক্ষমতা প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলীর কাছে নিয়ে নেওয়া, বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও ঠিকাদারদের কাছে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও এ ব্যাপারে পাউবো থেকে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করা, মনিটরিংয়ের নামে তোফায়েল কমিটির অতিমাত্রার বাড়াবাড়ি এবং মাঠ প্রশাসন থেকে টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে এমন দুরবস্থা বিরাজ করছে।
এমনিতেই নির্বাহী প্রকৌশলী পদে দীর্ঘদিন পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে সিনিয়রিটিকে কেন্দ্র করে দু’টি মামলা চলমান থাকায় এ পদে পদোন্নতি দিতে পারছে না পাউবো। বর্তমানে ৭৪ জন নির্বাহী প্রকৌশলী রয়েছে। আর ৫০ জনকে নির্বাহী প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিšুÍ পাউবো’র মাঠ প্রশাসনের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, অনেক নির্বাহী প্রকৌশলী তদবির করে বোর্ডে চলে আসতে চাচ্ছে।
মাঠে প্রশাসনে কাজ করার ক্ষেত্রে কেন এই বৈমুখতা-জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নির্বাহী প্রকৌশলী গতকাল (বুধবার) ইনকিলাবকে বলেন, অন্যান্য সংস্থার প্রকৌশলীদের চেয়ে তাদের যোগ্যতা কোন অংশে কম নয়। কিন্ত বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে-তাদের কাছে কার্যত কোন ক্ষমতা নেই। অথচ সকল কিছুই হয় নির্বাহী প্রকৌশলীর নামে। কিন্ত টেন্ডার করার ক্ষমতা, অর্থনৈতিক ক্ষমতা তাদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়ায় পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীরা এখন একবারেই অবহেলিত। তাদেরকে ঠিকাদাররা পর্যন্ত গুরুত্ব দেয় না। অথচ যে কোন কাজের ভাল-মন্দের দায়ভার তাদেরকেই বহন করতে হয়।
পাউবো’র মাঠ প্রশাসনে চলমান এই অসন্তোষ দূর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া না হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। যার বিরূপ প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন