শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ ও টিস্যু পলিথিন নিষিদ্ধের দাবি

প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার ঃ নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিকর টিস্যু পলিথিন নিষিদ্ধের দাবিতে সমাবেশ ও পদযাত্রা করেছে কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন। গতকাল সকালে পুরাতন ঢাকার নয়াবাজার থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে সেখানে সমাবেশ করে আয়োজক সংগঠন ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন’ (বাপা) ও ‘বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগ প্রস্তুতকারক অর্গানাইজেশন’ (বিইএসএমও)। কর্মসূচি থেকে এ বিষয়ে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
মানববন্ধনে বিইএসএমও’র সভাপতি মো. আবদুর রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাপা’র সহসভাপতি সৈয়দ আবুল মকসুদ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব, বিইএসএমও’র সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল হাসেম মুজাহিদ, বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন প্রমুখ। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, পলিথিন উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধ করার পর প্রতারণামূলকভাবে ভিন্ন নামে ক্ষতিকর রাসায়নিক টিস্যু পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও বাজারজাত করায় শুধু জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ নয়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
ডা. মো. আব্দুল মতিন বলেন, পলিথিন ব্যাগ পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত, সর্বজন স্বীকৃত। সরকার জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের গুরুত্ব বিবেচনায় ২০০২ সালে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, ব্যবহার, বিপণন ও বাজারজাতকরণের উপর আইন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অভাবে দীর্ঘ একযুগ পরও আইনটি কার্যকর হচ্ছে না। বর্তমানে যেখানে সেখানে অবাধে পাওয়া যাচ্ছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য বিরোধী এই পলিথিন ও টিস্যু পলিথিন। কর্মসূচি থেকে ঘোষিত দাবিসমূহ হচ্ছে ১.পলিথিন শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ আইনের সঠিক বাস্তবায়ন করে দোষী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ২. অবিলম্বে সকল প্রকার পলিথিন শপিং ব্যাগের অবৈধ কারখানা বন্ধ করতে হবে। বাজারে প্রচলিত সকল টিস্যু পলিথিন ব্যাগকে আইনগতভাবে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। ৩. টিস্যু পলিথিন ব্যাগ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে আগামী তিনমাসের মধ্যে বন্ধ করার ঘোষণা দিতে হবে ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে। ৪. পলিথিনের কাচামাল অপব্যবহার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ৫. এবং পলিথিন ব্যাগের বিকল্প পরিবেশবান্ধব পাট, কাপড়, কাগজ ও চটের ব্যাগ উৎপাদন ও তা সারাদেশে সকল স্থানে সহজ লভ্য করতে হবে। পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক প্রচারণার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে
পদযাত্রা ও সমাবেশে দুই সংগঠন নেতৃবৃন্দ ছাড়াও পরিবেশবাদী ছাত্র-যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস, বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্টস এসোসিয়েশন, ঢাকা কাগজ ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি, বৃহত্তর নোয়াখালী কাগজ ব্যবসায়ী সমিতি, ঢাকা মহানগর ইনভেলপস প্রস্তুতকারক মালিক ও শ্রমিক সমিতি, কেরানীগঞ্জ শপিং ব্যাগ প্রস্তুতকারক সমিতিসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী, সামাজিক, ব্যবসায়িক সংগঠনের সহস্রাধিক ব্যক্তি ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ডসহ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন