বিশেষ সংবাদদাতা : বর্তমান সরকারের আমলে দেশে কোন লোডশেডিং নেই। মানুষ তার চাহিদা মত বিদ্যুৎ বলে দাবি করেচেন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, এখন ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এর বাইরেও ভুটান এবং ভারতের সাথে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। ফলে কখন বিদ্যুৎ চলে যায় তা মানুষ জানেই না। গতকাল কেরানীগঞ্জের রুহিতপুরে ইজিবাইকের ব্যাটারিতে চার্জ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক স্থাপিত সোলার চার্জিং স্টেশন ও ১০ হাজার পরিবারে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. রবিউল হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। এ সময় বাপবিবোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পবিস এবং স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সমুদ্র জয় করেছি। সমুদ্রের তলদেশে খনিজ সম্পদ রয়েছে। আমরা উন্নত বিশ্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। পদ্মা সেতু এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি বলেন, পরিবেশবান্ধব যানবাহন চালানোর জন্য দেশে প্রথম ইজিবাইকের ব্যাটারিতে চার্জ দেয়ার জন্য সোলার চার্জিং স্টেশন আজ উদ্বোধন করা হলো। এতে যেমন পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে না, তেমনি বিদ্যুতের অপচয় কমে আসবে। তিনি বলেন, সরকার দেশে ৫টি সোলার চার্জিং স্টেশন নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়া হবে এবং আগামী ৩ বছরের মধ্যে কেরানীগঞ্জে গ্যাসের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি যত্রতত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন না করার জন্য শিল্প মালিকদের অনুরোধ জানান। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কার্যক্রমের আওতায় বাপবিবো ও ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের অক্লান্ত পরিশ্রমে স্বল্প সময়ের মধ্যে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়।
উল্লেখ্য, সরকার পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে প্রথম ইজিবাইকের সোলার চার্জিং স্টেশনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে একসঙ্গে ২০ থেকে ২২টি ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ দেয়া যাবে এখান থেকে। সারাদেশে গ্রিডে বিদ্যুতের ওপর চাপ কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ বিআরইবি’র নিজস্ব অর্থায়নে সোলার চার্জিং স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। চার্জিং স্টেশনটি নির্মাণে নিজস্ব তহবিল থেকে ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জের রুহিতপুরের সানি ফিলিং স্টেশনের ওপর এটি স্থাপন করা হয়েছে। এখানে কোন জমির প্রয়োজন হয়নি। ফিলিং স্টেশনটির ছাদ ভাড়া নিয়ে চার্জিং স্টেশনটি স্থাপন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন