শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এমডিআর যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ এখনও বড় চ্যালেঞ্জ - বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস শনিবার

| প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৮, ১২:২৫ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : দেশে য²া রোগী শনাক্তের হার বাড়ছে। তবে ডায়াগনসিস সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ওষুধ প্রতিরোধী য²া (এমডিআর) নিয়ন্ত্রণ এখনও বড় চ্যালেঞ্জ। এখনও এ ধরনের রোগীদের আনুমানিক ৮০ শতাংশই শনাক্তের বাইরে থাকছেন। আর সকল ধরনের য²ায় চিকিৎসার আওতাবহির্ভূত থাকছেন ৩৩ শতাংশ রোগী। তবে শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলেও জীবাণুযুক্ত ফুসফুসের য²ার চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাফল্যের হার ৯৫ শতাংশ যা সন্তোষজনক। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব য²া দিবসের প্রাক্কালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। আগামী শনিবার বিশ্ব য²া দিবস। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় য²া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিপি) ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের য²া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট ডা. মো. আবুল খায়ের বাশার। কর্মসূচি সংক্রান্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন জাতীয় য²া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মেডিকেল অফিসার ড. নাজিস আরেফিন সাকি। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জাতীয় য²া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মেডিকেল অফিসার মিয়া সাপোল, ইউএইসএইড-এর সংক্রামক রোগ সংক্রান্ত জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ড. চার্লস লারম্যান, আইসিডিডিআর,বি-এর বিজ্ঞানী ডা. সায়রা বানু, ব্র্যাকের পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এমডিআর রোগী শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হচ্ছে যে সংখ্যক জিনএক্সপার্ট মেশিন থাকার কথা, তা নেই। তাছাড়া সচেতনতার অভাব ও চিকিৎসাব্যয় বেশি বলে অনেকের পক্ষে নিয়মিত ওষুধ খাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে এর সফলতা তুলনামূলক কম। জাতীয় য²া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে এনটিপির মাধ্যমে দেশে ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০১ জন য²া রোগী শনাক্ত করা হয়েছে ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ১৫ বছরের কম বয়সী য²ারোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ১৮৯ জন। দেশে এখন এক্সটেনসিভলি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট রোগীর সংখ্যা ১২ জন। দেশে প্রতি বছর প্রতি লাখে য²ায় আক্রান্ত হচ্ছে ২২১ জন, মৃত্যু হচ্ছে ৪০ জনের। তাই য²া চিকিৎসায় সচেতনতার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন জরুরি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন