মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নির্বাচনী সহিংসতা - সারাদেশে হামলা সংঘর্ষ অব্যাহত নিহত ১ : আহত ২ শতাধিক

প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৩৭ পিএম, ১ এপ্রিল, ২০১৬

ইনকিলাব ডেস্ক : দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের দিনের সহিংসতার পর ফলাফল ঘোষণার পরও নানা স্থানে চলছে হামলা সংঘর্ষের ঘটনা। গতকাল নাটোরে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া বি.বাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, ভোলা, মাদারীপুর, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ২ শতাধিক মানুষ। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত।
নাটোরে সংঘর্ষে বিএনপি কর্মীর মৃত্যু
নাটোর জেলা সংবাদদাতা : বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নাটোরের লালপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১০ ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। একটি ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রয়েছে। বাগাতিপাড়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত একটি মাত্র ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। ভোটের দিন সকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত বিএনপি কর্মী এমদাদুল হক বিপ্লব (৪০) মারা গেছে। গত নির্বাচনে এই ১১টি ইউনিয়নের ৮টিতে বিএনপি বিজয়ী হয়েছিল। স্থানীয়রা জানায়, লালপুরের আড়বাব ইউনিয়নের হাবিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী এমদাদুল হক বিপ্লব (৪০)সহ চারজন আহত হয়। রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত বিপ্লব রঘুনাথপুর গ্রামের সাজেদুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা চলছে।
কোটালীপাড়ায় হামলা
কোটালীপাড়া উপজেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় গতকাল নির্বাচন পরবর্তী সময় কলাবাড়ী ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের পাড়াকাটা দেলোয়ার কে ভোট না দেওয়ায় তার লোকজন জামাল এর সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে ফারুক মোল্লা (৩৫) ও জসিম মোল্লা (৩০) কে আহত করে। এদিকে আমতলী ইউপির বড় দক্ষিণ পাড়া ৮ নং ওয়ার্ডে শাহাদাৎ শেখের সমর্থকরা সিরাজ শেখের সমর্থকদের বাড়ীতে গিয়ে হামলা চালায় এতে আসাদুল শেখ (৪০) ও অপর পক্ষের হাফিজ শেখ (৪২) আহত হয়। এছাড়াও কফুলাবাড়ী ও জহরেরকান্দি কেন্দ্রে সতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট কে বের করে দিয়ে জোর করে ভোট কাটার ঘটনা ঘটে । অন্য দিকে রামশীল সাধু ভগিরৎ কেন্দ্রে ও রাধাগঞ্জ সিকটি বাড়ী কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনা করা জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন প্রার্থী চিত্তরঞ্জন হালদার ও সামিম গাজী। বিভিন্ন এলাকা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা মাথা চারা দিয়ে ওঠায় উত্তেজনা বিরাজ করতেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ প্রসঙ্গে কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (অসি) আব্দুল লতিফ বলেন নির্বাচনে নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. হাসানউদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে আহত ৬০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিবাচন পরবর্তী সহিংসতায় গতকাল শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও নবীনগরে পৃথক সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬০জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ৫জন দাঙ্গাবাজকে আটক করেছে। জানা যায়, গত ২২ মার্চ প্রথম দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুর গ্রামের আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন মাজু মিয়ার সাথে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী জিয়াউল করিম খান সাজুর সমর্থকদের বিরোধ চলছিল। নির্বাচনে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পরাজিত হলে এ উত্তেজনা বেড়ে যায়। এর জের ধরে শুক্রবার সকালে দূগাপুর ইউনিয়নের তাজপুরে ও পরে দূর্গাপুরে দু’পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে দু’গ্রামের কয়েক হাজার দাঙ্গাবাজ অন্তত ৭টি স্পটে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দুপুর ১টায় আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনসহ র‌্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করে। টানা ৫ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতরা গ্রেফতার আতংকে জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা ও ভর্তি হন। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র‌্যাব অন্তত ৫০ রাউন্ড টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে বেশকিছু দোকানপাট, বাড়িঘর অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ দাঙ্গাবাজকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নে গতকাল সকালে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী চেয়ারম্যান কবির আহম্মেদ ও পরাজিত চেয়ারম্যান কবির হোসেনের (স্বতন্ত্র) সমর্থকদের মধ্যে ভোট দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ জিলুর রহমান (৬০) ও ঝানু মিয়া (৫০)কে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া আহত আলাল মিয়া, আরমান মিয়া, রাহুল, রবিউল আওয়াল, সুদন মিয়া, ডা. সাদেক মিয়া, কানু মিয়াকে নবীনগর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ছাতকে পৃথক সংঘর্ষে আহত ৬০
ছাতক উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ছাতকে ইউপি নির্বাচনোত্তর পৃথক সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ১১ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় কালারুকা ইউনিয়নের করছখালী ও দুপুর ১২টায় ছাতক সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আশরাফুল আলমের সমর্থকদের সাথে বিজয়ী মেম্বার কাজী নজরুল ইসলামের সমর্থকদেও মধ্যে কথাকাটির জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। আহতদের ছাতক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অপর ঘটনাটি ঘটে কালারুকা ইউনিয়নের করছখালী গ্রামে। বর্তমান মেম্বার শফিকুল ইসলাম ও নূরুল হক একই করছখালী গ্রাম থেকে এবারে মেম্বার প্রার্থী হয়ে দু’জনই ফেল করে। গতকাল সকালে সফিকুল ইসলাম ও নুরুল হকের মধ্যে নির্বাচনে পরাজয়ের বিষয় নিয়ে বাকবিত-া হয়। একপর্যায়ে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে লাটি-সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে আন্তত ৪০ ব্যক্তি আহত হয়। এদের গুরুতর আহত সমর আলী, নুরুল হক, মঈন উদ্দিন, আজমুল আলী, গোলাম মোস্তফা ও চেরাগ আলীসহ ১১ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ দু’টি ঘটনাস্থল থানা পুলিশ পরিদর্শন করেছে বলে জানা গেছে।
মনপুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০
ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, ভোলার মনপুরায় আ’লীগ সমর্থিত বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ১৮ জনকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, পরাজিত মেম্বার প্রাথী আবদুস সহিদ, ইসমাইল, শাহিন, রফিক, ইলিয়াস, সিরাজ, আক্তার, গিয়াস উদ্দিন, সেলিম, আবুল, নুর ইসলাম, ফারুক, ফকরুল সফি আলম, রহিম, ইব্রাহিম, খোকন ও আলাউদ্দিন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডে আবদুস সহিদ ও এনায়েত কবির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বৃহস্পতিবার ভোটে বিজয়ী হন এনায়েত কবির। শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় গোয়ালিয়া গ্রামে বিজয়ী এনায়েত হোসেন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সহিদের বাড়িতে দেখা করতে গেলে উভয়ের মধ্যে বাক-বিত-ার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
মাদারীপুরে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৫
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের দিয়াপাড়া গ্রামের শুক্রবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘষে ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী সানোয়ার হোসেন এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাহেব আলী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও দুই প্রার্থীই পরাজিত হয়। এনিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এই ঘটনার জের ধরেই সকালে সানোয়ার হোসেনের সমর্থক সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল মাস্টারের বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে প্রতিপক্ষ। এসময় আত্মরক্ষার্থে ইসমাইল মাস্টারের লোকজন গুলি ছুড়লে রফিক, কালাম, হাসান, আলহাজ, রুবেল, নাইম, সালামসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
ভেড়ামারায় গোলাগুলি, বোমা বিস্ফোরণ আহত ২০
ভেড়ামারা উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ভোট শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ফলাফল ঘোষণা নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মশাল এবং নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে গোলাগুলি, বোমার বিস্ফোরণ এবং ট্রাক আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে বাহাদুরপুর প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থা কেন্দ্রে লালচাঁদ নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিজিবি এবং পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যরা গুলি চালায়। গুলিতে ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। এদের মধ্যে আব্দুল মমিন, ছালাম, আমিরুল ইসলামের অবস্থা আশংকাজনক।
বিরামপুরে পুলিশ-বিজিবির গুলি
বিরামপুর উপজেলা সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরে বিরামপুরে গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ-বিজিবির ১২ রাউন্ড গুলি ও পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারার ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। এ সময় পুলিশের এস আই সাইফুল ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সরেজমিনে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে কাটলা ইউনিয়নে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী ইউনুস আলী ও বিদ্রোহী প্রার্থী সামসুল আলমের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছিল।
দৌলতপুরে হামলা, পুলিশের গুলি
দৌলতপুর উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যের ওপর পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থীরা হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার হোসেনাবাদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, হোসেনাবাদ বাজারের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য দুলাল মেম্বর সকালে হোসেনাবাদ বাজারে আসলে ভোটে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী ঝন্টু ও মনিরুল একজোট হয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে এলাকায় আতংক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে হামলাকারীরা সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে কুষ্টিয়া-প্রাগপুর-মহিষকুন্ডি সড়ক প্রায় ১ ঘণ্টা অবরোধ করে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরপর ৩ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন