কোটা সংস্কারের পাঁচ দফা দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে সারা দেশ। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা, বিক্ষোভ করছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আন্দোলনে কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি একটাই- কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে আনতে হবে। মেধাবীদের সঠিক মূল্যায়ন এবং কোটার নামে অমেধাবীদের বিশেষ সুবিধা পাওয়ার অন্যায্য পন্থা বন্ধের দাবিতে অনড় তারা।
আমাদের বিভিন্ন জেলা, ব্যুরো, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদক।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ, ক্লাস বর্জন
চবি রিপোর্টার : কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সোমবার দ্বিতীয় দিন আবার রাস্তায় নেমেছেন। সকাল ১০টা থেকে নগরীর ষোলশহর, দুই নম্বর গেইট এলাকায় শত শত ছাত্রছাত্রী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। একইসাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন কর্মসূচি শুরু করেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা জানান, সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাস চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা এই কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। একই সময়ে চট্টগ্রাম নগরীতে অবস্থানকারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। তবে পুলিশি সতর্ক অবস্থানের কারণে সড়ক অবরোধের ঘটনা না ঘটলেও সড়কের পাশে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের চৌধুরী জানান, শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য ক্লাস বর্জন কর্মসূচি শুরু করেছেন। ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
রাবির ফটকে তালা, ছেড়ে যায়নি বাস : চলছে সর্বাত্মক ধর্মঘট
রাবি সংবাদদাতা জানান, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ডাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সর্বাত্মক ধর্মঘট চলছে। ফলে নির্ধারিত রুটিনের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনকারীদের বিক্ষুব্ধ স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা ক্যাম্পাস।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সোমবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফটকে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তারা ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। ফলে শিক্ষার্থীদের বহনকারী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহনের কোনো বাস সকালের শিফটে ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়নি।
এদিকে, সকাল ৯টার দিকে আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করছেন। কোটা সংস্কার দাবি ও ঢাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ফলে গোটা ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাবির সমন্বয়ক মাসুদ মুন্নাফ বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা ক্যাম্পাসে ধর্মঘট পালন করছি। ক্লাস করতে আসা শিক্ষার্থীদের আমাদের দাবির কথা জানিয়ে তাদেরকে ক্লাস না করার অনুরোধ করেছি। পরিবহন দপ্তরেও আমাদের ধর্মঘট কর্মসূচির কথা জানিয়ে বাস বন্ধ রাখতে বলেছি। সকাল থেকে সবাই আন্দোলনের প্রতি একমত জানিয়ে রাবিতে ধর্মঘট পালন করছে। সরকার দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নিয়ে কোটা সংস্কার করবে বলে আশা করছি।’
এর আগে ঢাকায় একজন আন্দোলনকারী পুলিশের হামলায় নিহত হয়েছেন এমন খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে প্রত্যেক হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান ফটকে জড়ো হন প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী। তারা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। সেখানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষুব্ধ স্লোগান দিতে থাকেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে তারা অবরোধ তুলে নিয়ে হলে ফিরে যান।
সিলেটে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ, শাবিতে ছাত্রলীগে বাধা
শাবি সংবাদদাতা জানান, সব ধরনের সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে সারা দেশের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের ন্যায় আন্দোলনে নেমেছেন সিলেটের বিভিন্ন বিভিন্ন ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল থেকে স্ব স্ব ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
এদিকে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ।
আন্দোলনকারীরা সকাল ৭টায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে থাকে। পৌনে ৮টার দিকে শাবি শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রধান ফটকে এসে তাদেরকে গেট অবরোধ না করার অনুরোধ করেন। পরে শিক্ষার্থীরা গেটের পাশেই অবস্থান করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। কোনো ধরনের বৈষম্যের সাথে আপোষ করবেন না তারা।
শাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, ‘অহিংস আন্দোলন করার গণতান্ত্রিক অধিকার এই দেশে সকলেরই রয়েছে। আমরা তাদেরকে বলেছি আপনারা অহিংস আন্দোলন করতে পারেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে নয়।’
এদিকে আন্দোলনকে বানচাল করতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। শাহপরান হল থেকে আন্দোলনে আসার সময় শাবি ও সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিনের ফোন কেড়ে নিয়ে হলে দেড় ঘণ্টা আটকিয়ে রাখে শাখা ছাত্রলীগ। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ইমরান খানের উপস্থিতিতে ঘটানো হয়েছে বলে জানা গেছে। পরবর্তীকালে বিষয়টি জানাজানি হলে নাসিরের ফোন দিয়ে দেওয়া হয়।
আটকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করে শাবি ও সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, 'হল থেকে আসার সময় মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আমাকে শাহপরান হলের গেস্ট রুমে দেড় ঘণ্টা আটকিয়ে রাখা হয়। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের আন্দোলন চলবে।'
এদিকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এমসি কলেজ, সরকারি কলেজ, মদন মোহন কলেজেও শিক্ষাথীরা ধর্মঘট পালন করছেন। দুপুরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মিছিল নিয়ে নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেবেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে সড়ক অবরোধও করবেন তারা।
বরিশালে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বরিশাল ব্যুরো জানায়, কোটা পদ্ধতির সংস্কারের পাঁচ দফা দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সকাল থেকে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি চললেও দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেছেন বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। এতে বরিশাল থেকে ভোলা, পটুয়াখালী ও বরগুনা রুটসহ নগরীর উত্তর প্রান্তের সড়কগুলোতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
বরিশাল-পটুয়াখালী মিনি বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকেই কীর্তনখোলা নদীর ওপরে শহীদ আব্দুর রব সেনিয়াবাত সেতুসংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। আর তখন থেকেই চলছে তাদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। এতে করে রাস্তার দুই প্রান্তে অসংখ্য যানবাহন আটকে রয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘কোটা পদ্ধতির সংস্কারের পাঁচ দফা দাবিতে আমরা শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার সকাল থেকেই এখানে অবস্থান নিয়েছি। সেই সাথে মধ্যরাতে রাজধানী ঢাকায় আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
একই দাবিতে বরিশাল বিএম কলেজের সামনে বিক্ষোভসহ সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
পৃথক দুই স্থানেই বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছে বলে জানান বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোগান্তি হয় এমন কোনো আন্দোলন করা যাবে না। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করলে পুলিশ বাধা দেবে না। পরিস্থিতি বুঝে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলছে
ইবি সংবাদদাতা জানান, রোববার রাতে শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও কোটা সংস্কারের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্দোলন চলমান রয়েছে। সকাল ১০টা থেকে এ আন্দোলন শুরু হয়।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার শাহবাগে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। পরে পুলিশের হামলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। শাহবাগের এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং একইসাথে কোটা সংস্কারের দাবিতে সকাল থেকে মিছিল শুরু করেন ইবি শিক্ষার্থীরা। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে মিছিলে অংশ নেন। তারা দলে দলে বিভিন্ন একাডেমিক ভবন ও হল থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় তাদের হাতে ব্যানার, বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড এবং কিছু শিক্ষার্থীর বুকে স্লোগান লেখা দেখতে পাওয়া যায়। সকাল থেকে তারা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহড়া দিতে থাকেন। এই মুহূর্তে তারা ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করছেন। এ ছাড়াও মূল ফটকের সামনে পুলিশকে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের
জাবি সংবাদদাতা জানান, সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে ও বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিক্ষোভ মিছিল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ফের অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে ‘সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, জাবি শাখা’ এর ব্যানারে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। অধিকাংশ বিভাগে ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে পৌনে ১০টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা গেট দিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রবেশ করেন। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীরা পরে মহাসড়ক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ এ ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। মহাসড়ক অবরোধের কারণে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদেরকে অবরোধ তুলে নিতে বলেন। তবে আন্দোলনকারীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে যাবেন না বলে জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন