শাহাবাগে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। চবি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগে ক্লাস হয়নি, বেশ কয়েকটি বিভাগের পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষা বর্জনের কথা জানা গেছে । চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহরে বেলা সাড়ে দশটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম শাটল ট্রেন অবরোধ করে দেয়ে অন্দোলনকারী শত শত শিক্ষার্থীরা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হল থেকে শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে জড় হয়। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট অভিমুখে মিছিল নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা ক্যাম্পাসের বাইরে প্রধান সড়কে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশি বাধা পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে আন্দোলনকারীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে ।
ষেলশহর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার শাহাব উদ্দিন বলেন, আন্দোলনরত শত শত শিক্ষার্থী কোটা সংস্কার দাবিতে শাটল ট্রেন অবরোধ করে রেখেছেন। সকালের সব ট্রেন ছেড়ে গেলেও অবরোধের কারণে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের বিশ্ববিদ্যালয়গামী ট্রেনটি ষোলশহর স্টেশন ছেড়ে যেতে পারেনি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান বাবু বলেন, ৫২র ভাষা আন্দোলনের সময়ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভারতের দালাল আক্ষা দিয়ে নায্য দাবি বানচাল করেছিল পাকিস্তানী শাসক গোষ্টি। কিন্তু নায্য দাবি আটকানো যায়নি। ঠিক এবারও শত ষড়যন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে এই নায্য দাবি প্রতিষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ চবি সমন্বয়ক মো. আনোয়ার ইনকিলাবকে বলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আন্দোলন চালাচ্ছি। বিকাল তিনটার মধ্যে যদি সরকার পক্ষ থেকে কোন আশ্বাস আমরা না পাই তাহলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুসারে চবি সহ চট্টগ্রামের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমরা একযোগে অন্দোলন চালিয়ে যাব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন