এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রæপ অব বাংলাদেশ (এএআইজি-বিডি) প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ বলেছেন, নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ অবতরণের ঠিক আগ মুহূর্তে অ্যালাইনমেন্ট (নির্দিষ্ট স্থান বরাবর) ঠিক ছিল না। কিছুটা বাঁকা ছিল, যার কারণে রানওয়ে থেকে ছিটকে বাইরে চলে যায় উড়োজাহাজটি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিভিল এভিয়েশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। গত ৯ এপ্রিল নেপাল সিভিল এভিয়েশন কর্তৃক ইউএস-বাংলা উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, তদন্তে দেখা গেছে- ক্যাপ্টেন শেষ মুহূর্ত পযন্ত নির্দিষ্টস্থান বরাবর (অ্যালাইনমেন্ট) ঠিক রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পযন্ত— তিনি অ্যালাইনমেন্ট সোজা করতে পারেননি। যার কারণে এয়ারক্রাফটি রানওয়ে থেকে ঘাসের উপরে চলে যায়। পরে ঘাসের উপর দিয়ে বেশ কিছু দূর যাওয়ার পর একটা ছোট ড্রেন আছে, সেটা পার হয়ে কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে নিচু ঢালুর দিকে চলে যায়। আর চাকাগুলো রীতিমতো ঘষতে ঘষতে যায়। আমরা তদন্তে দেখেছি, রানওয়ে থেকে প্রায় ৪২২ মিটার দূরে চলে যায় উড়োজাহাজটি। এরপর আগুন ধরে গিয়ে এটি বিধ্বস্ত হয়। ০২ আর ২০ নিয়ে বিভ্রান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এটিসি থেকে ০২ আর ২০ রানওয়ে নিয়ে একটু ভুল হয়েছিল। কিন্তু তাৎক্ষণিক কারেকশন করে দিয়েছিল। কাজেই এটা স্বাভাবিক বিষয়। আর শেষ মুহূর্তে পাইলটের কাছ থেকে ইমার্জেন্সি কোনো কল করা হয়নি এটিসিতে। এটিসির সাথে পাইলটের শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, নেপালের এটিসির সাথে পাইলটের শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল। কিন্তু শেষের দিকে ৪৭ সেকেন্ডের মতো যোগাযোগ ছিল না। এই কিছুক্ষণ সময় যে জিনিসটা চেয়েছে, সেই জিনিসটা তাৎক্ষণিকভাবে আদান-প্রদান হয়নি। গত ১২ মার্চ ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ। এ ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশিসহ মোট ৫২ জন নিহত হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন