গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : ঢাকায় তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানোর পর তার মৃত্যুর খবর- গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় হাত হারাল আরেক যুবক। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বেগ্রাম নামক স্থানে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের পার্শ্ব সংঘর্ষ হলে এক যুবকের ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে, তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাত হারানো ওই যুবকের নাম হৃদয় (৩০)। তিনি টুঙ্গিপাড়ার কাড়ারগাতি গ্রামের মো: রবিউল ইসলামের ছেলে। হৃদয় পেশায় পরিবহন শ্রমিক। টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের একটি বাসে চালকের সহকারী (হেলপার) ছিলেন তিনি।
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন জানান, আহত হৃদয়কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এদিকে, ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করলেও চালককে আটক করতে পারেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাসটিতে থাকা এক যাত্রী জানান, পিরোজপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের বাসের একেবারে পিছনের ডান পাশের ছিটে বসে ছিলেন হৃদয়। বাসটি বেগ্রাম পৌঁছালে অপরদিক থেকে আসা একটি ট্রাক পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় বাসের পেছনে অংশে সজোরে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই হৃদয়ের বাহু থেকে ডান হাতটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে সঙ্কটজনক অবস্থায় তাকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পাঠানো হয়। ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ট্রাকটি বেপরোয়া গতিতে বাসটিকে অতিক্রম করার সময় বাসের পেছনের অংশে আঘাতটি করে। ট্রাক চালকের ভুলেই বাসশ্রমিকের হাতটি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। হৃদয়ের বাবা রবিউল মিনা জানান, সে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের চালকের সহকারী। সে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের অন্য একটি গাড়িতে ডিউটি করে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসে করে হৃদয় ঢাকা যাচ্ছিল।
এদিকে ট্রাকটি আটকের জন্য অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল রাজধানীতে বেপরোয়া দুই বাসের রেষারেষিতে পড়ে হাত হারায় সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেন। এরপর ১৪ দিন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রাজীব। রাজীব হোসেনের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন