গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা : গাজীপুরে ডাকাতের গুলিতে এক মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম পরেশ চন্দ্র ঘোষ (৬৫)। তিনি স্থানীয় যোগেশ চন্দ্র ঘোষের ছেলে। তিনি সালনা বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন নিহতের ভাইসহ তিনজন। আহতরা হলেন- নিহতের ভাই নরেশ চন্দ্র ঘোষ (৫৮) ভাতিজা বিধান কৃষ্ণ ঘোষ (৩২) ও মৃনাল চন্দ্র ঘোষ (২৮)। আহতদের রাতেই গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে গুরুত্বর আহতাবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
রোববার দিবাগত মধ্য রাতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সালনা কাথোরা মৈশানবাড়ি এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আলম (২২) ও প্রদীপ (২৫) আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের জেঠাত ভাই আশোতোষ ঘোষ জানান, রাত দুইটার দিকে ৮-১০ জনের মুখোশ পরা একদল ডাকাত নরেশ চন্দ্র ঘোষের বাড়িতে হানা দেয়। তারা বাড়ির গেইটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। ডাকাতরা নরেশ, বিধান ও মৃনালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও মালামাল লুটপাট চালায়। এ সময় পাশের পরেশ চন্দ্র ঘোষের ঘরেও ডাকাতরা হানা দেয়া। দরজা ভাঙ্গার শব্দ পেয়ে পরেশের ছেলে গৌতম ঘোষ পলাশ দরজার কাছে এসে ডাকাতদের চিনে ফেলছে বলতেই ডাকাতরা গুলি ছুড়ে। এসময় পলাশের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা পরেশ চন্দ্র ঘোষ কপালে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আশোতোষ আরো জানান, ডাকাতরা তার মাথায়ও পিস্তল ঠেকিয়ে রাখে এবং তার মায়ের গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার উদ্ধার করে ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
জয়দেবপুর থানার এসআই পরিমল বিশ্বাস জানান, খুন ও ডাকাতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা জানান, এ ঘটনায় আলম ও প্রদীপ নামে দুইজনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন