বিশেষ সংবাদদাতা : সড়ক দুর্ঘটনা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। রাজধানীসহ সারাদেশেই প্রতিদিন নির্মমভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান হারাচ্ছেন মানুষ। গুলিস্তানের রাস্তায় বেপরোয়া বাসের চাকা পিষিয়ে দিলো আওলাদ হোসেন (২৩) নামে এক ব্যবসায়ীর বা পায়ের পাতা ও চার আঙুল। চারটি আঙুলের হাড়ই চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে গুলিস্তানের সিটি সুপার মার্কেটের সামনের রাস্তার পাশ ধরে হাঁটার সময় আওলাদের পায়ের ওপর উঠে যায় বাসটি। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আওলাদ পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজার এলাকায় থাকেন। গুলিস্তানের জাকির সুপার মার্কেটে এ এম গার্মেন্টস নামে একটি রেডিমেড পোশাকের দোকান রয়েছে তার।
ঢামেক জরুরি বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আওলাদের পায়ের এক্স-রে করে দেখা গেছে, তার বা পায়ের পাতার চারটি আঙুল চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০২ ওয়ার্ডের ২৪ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সড়ক দুঘটনায় হাত হারানো খালিদ হাসান (২৩)। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোপালগঞ্জ সদরের বেতগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন হৃদয়। ট্রাকের ধাক্কায় ডান হাত হারিয়েছেন তিনি। টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের চালকের সহকারী হৃদয়ের ডান হাতটি বাসের জানালায় ঝুলে থাকার কিছু পর তা সড়কে পড়ে যায়। রক্তাক্ত হৃদয়কে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে।
হৃদয়ের বাবা রবিউল সাংবাদিকদের বলেন, ওষুধ দেয়ায় এখন ব্যথা বুঝতে পারছে না আমার ছেলে। কিন্তু ওষুধের প্রতিক্রিয়া কমে গেলেই যন্ত্রণায় ছটফট করে ওঠে। পাশে দাঁড়ানো হৃদয়ে মা শাহিদা বলেন, আজ (বুধবার) ভোররাত চারটার দিকে কী যে ব্যথা ওঠে আমার ছেলের। পরে ইনজেকশন দিলে ঘুমিয়ে যায়। রবিউল বলেন, ধারদেনা করে হৃদয়ের চিকিৎসা চালানো হচ্ছে। ট্রাকের চালককে ধরেছে পুলিশ। তবে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সময় এখনো পাইনি। যাঁদের বিবেক রয়েছে, তারাই এটা দেখবেন। গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে বিআরটিসি একটি বাসের সঙ্গে স্বজন পরিবহনের একটি বাসের রেষারেষিতে ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেনের। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ােমবার ১৬ এপ্রিল রাতে মারা যান রাজীব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন