ইসলামকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে তুলে ধরতে চায় পাস। মালয়েশিয়ার নির্বাচনে ইসলামিক পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। খবরে বলা হয়, মালয়েশিয়ার আসন্ন নির্বাচনে কারা ক্ষমতায় যাচ্ছেন তা নির্ভর করছে মালয়েশিয়া ইসলামিক পার্টি পাস নামে দলটি কী পরিমাণ ভোট পায় তার ওপর। নির্বাচনে পার্লামেন্টের ২২২ আসনের ৪০টিতেই জয় পাওয়ার আশা করছে দলটি। ক্ষমতায় কারা যাবেন, তা নির্ধারণে এ আসনগুলোই যথেষ্ট। ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দলটি আধুনিকতা ও কট্টরপন্থার মধ্যে ঘুরপাক খেয়েছে। কিন্তু আশির দশকে ইরানের বিপ্লবের পর তারা মালয়েশিয়াকে একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে এগোতে চাচ্ছে তারা। রয়টার্সের খবরে পাসকে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, দুর্নীতি ও মাদকবিরোধী দল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কাক্সিক্ষত আসন পাওয়ার পর পাস তাদের নীতিগত দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের শর্তে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক কিংবা বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে। দলটি যদি খুব ভালো করতে নাও পারে, তবে বিরোধীদের ভোট ভাগাভাগিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। এতে করে নাজিব রাজাকের বারিসন ন্যাসিওনাল (বিএন) জোট সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যেতে পারবে। পাসের সভাপতি আব্দুল হাদি আওয়াং বলেন, যদি তারা ক্ষমতার ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেন, তবে নির্বাচনের পর সরকারের কাছে আমাদের দাবি থাকবে, ইসলামকে কেন্দ্র করেই যেন সব ধরনের নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়। তিনি বলেন, আমরা ইসলামকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে তুলে ধরতে চাচ্ছি। কুয়ালালামপুরে পাসের প্রধান কার্যালয়ে বসে আলাপকালে রয়টার্সের কাছে তিনি বলেন, ৪০টি আসনের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। তবে তার বেশিও পেতে পারি। ভবনের বাইরে অবস্থান করা পাসের কিছু কর্মী বলেন, আগামী ৯ মের নির্বাচনে পর তারা দেশটিতে নতুন করে প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন। ২০১৩ সালের নির্বাচনের পর তাদের সমর্থন বাড়ছে। তখন তারা ২১টি আসনে বিজয় অর্জন করেছিল। এদিকে কুয়ালালামপুরের দুই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, দলটি ১০টির বেশি একটি আসনও পাবে না। তিন কোটি ২০ লাখ লোকের মালয়েশিয়ায় ৭০ শতাংশ মুসলমান। এ ছাড়া রয়েছে নৃতাত্তি¡ক চাইনিজ, ভারতীয়, যারা বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী। আমানাহ পার্টির এক স্থানীয় নেতা বলেন, পাসের লোকজন ভালো করে কোরআন পড়তে পারেন ঠিক। কিন্তু তারা দেশ চালানোর যোগ্য না। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন