শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কাতার থেকে তরল গ্যাস নিয়ে প্রথম চালান মহেশখালীর সোনাদিয়া পয়েন্টে ভিড়েছে বৃহত্তর জাহাজ এক্সিলেন্স

শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৮, ১০:০৫ পিএম | আপডেট : ১২:০৩ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০১৮

মহেশখালীতে নব স্থাপিত দেশের আলোচিত এলএনজি টার্মিনালে মজুদের জন্য আমদানির প্রথম চালান নিয়ে মহেশখালীর সোনাদিয়া জিরো পয়েন্টে ভিড়েছে দেশের ইতিহাসের বৃহত্তর জাহাজ ‘এক্সিলেন্স’। কাতার থেকে তরলী গ্যাস নিয়ে জাহাজটি এসেছে।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বিকাল ৪টা নাগাদ জাহাজটি সোনাদিয়া জিরো পয়েন্টে ভিড়ে। এই জাহাজটি ২৭৭ মিটার লম্বা, ৪৪ মিটার প্রস্থ এবং ১২ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) এ জাহাজে রয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ঘনমিটার তরল গ্যাস।

তথ্য মতে, বাংলাদেশের ইতিহাসে বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বড় জাহাজ আগে আসেনি। এটি সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত জাহাজ। আমেরিকান কোম্পানির জাহাজটি মধ্যপ্রাচ্যের কাতার থেকে এলএনজি নিয়ে বাংলাদেশে আসছে। এরপর এটি ব্যবহৃত হবে ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) হিসেবে। জাহাজটি উপকূল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে ভাসমান টার্মিনাল হিসেবে। ১৫ বছর বিদেশি প্রতিষ্ঠানটি জাহাজ ভাড়া পাবে। এরপর এটি বাংলাদেশ সরকারের মালিকানায় চলে আসবে।

প্রাকৃতিক গ্যাসকে শীতলকরণ (রেফ্রিজারেশন) প্রযুক্তির মাধ্যমে তাপমাত্রা কমিয়ে মাইনাস ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে তরলে (এলএনজি) পরিণত করা হয়। ‘এক্সিলেন্স’ জাহাজটিতে এলএনজিকে সমুদ্রের পানির উঞ্চতা ব্যবহার করে আবার প্রাকৃতিক গ্যাসে রূপান্তর করা হবে। এরপর পাইপলাইনের মাধ্যমে চট্টগ্রামসহ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন,‘ ইতিমধ্যে মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ৯১ কিলোমিটার পাইপলাইনের কমিশনিং (গ্যাস ঢুকিয়ে সফল পরীক্ষা) সম্পন্ন করা হয়েছে। জাহাজটি গ্যাস খালাস করতে নানা প্রক্রিয়া রয়েছে। তা করতে একমাস সময় লাগবে। খালাস ও বিতরণ প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এদিকে মহেশখালীর সোনাদিয়া পয়েন্টে এলএনজি ননিয়ে বৃহত্তর ‘এক্সিলেন্স’ জাহাজটি আসায় প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কক্সবাজার উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হল বলে মনে করছেন কক্সবাজারবাসী।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন