শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

হালদার রেণু প্রথম দিনে কেজি ৭০ হাজার টাকা

| প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে : এশিয়ার বিখ্যাত প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে সংগৃহিত মা-মাছের ডিম হতে বিকশিত রেণু বিক্রি শুরু হয়েছে। ৪দিন ধরে রেণু ফোটানোর পর গতকাল (মঙ্গলবার) ক্রেতাদের কাছে রেণু বিক্রি শুরু করেন ডিম সংগ্রহকারীরা। প্রথম দিন প্রতি কেজি রেণু ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। গতবারের তুলনায় দাম কিছুটা কম হলেও এবার রেণু বেশি হওয়ায় খুশি বিক্রেতারা। গত বছর প্রতি কেজি রেণু বিক্রি হয় লাখ টাকায়। তবে এবার ডিম সংগ্রহের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এরফলে দাম কিছুটা কম হলেও লাভবান হবেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা পানিসহ এসব রেণু নিয়ে নিজেদের হ্যাচারীতে বড় করে তা পোনায় রূপান্তরিত করবেন। এরপর পোনা হিসেবে তা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হবে।
হাটহাজারী উপজেলার ৩টি হ্যাচারী থেকে ডিম সংগ্রহকারীরা এই রেণু বিক্রি করেন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ও স্থানীয় ক্রেতাদের এই রেণু ক্রয় করতে দেখা যায়। আরও ২-৩ দিন চলবে এই রেণু বিক্রি কার্যক্রম। হালদা পাড়ের রেণু বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার হালদা নদীতে গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু মৎস্য কর্মকর্তা ও হ্যাচারীর দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে ও হ্যাচারীর কুয়া গুলো নষ্ট থাকায় কয়েকজন ডিম সংগ্রহকারীর ডিম ও রেণু নষ্ট হয়ে গেছে। তারপরও ডিম থেকে যে পরিমাণ রেণু পাওয়া গেছে তা উপযুক্ত দাম দিয়ে বিক্রি করতে পারলে ক্ষতি পোষানো যাবে।
রেণু বিক্রেতা কামাল সওদাগর জানান, নোয়াখালীর এক ক্রেতার কাছে পানিসহ ৭৫ হাজার টাকায় এক কেজি রেণু বিক্রয় করেন। আরও অনেকে এসেছেন রেণু কিনতে। হাটহাজারী উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকার্তা আবুল কালাম জানান, উপজেলার হ্যাচারী গুলোতে রেণু বিক্রেতারা নির্বিঘেœ রেণু বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি রেনু ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন পর্যন্ত এই রেণু বিক্রি করা হবে বলে তিনি জানান।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
পাবেল ২৫ এপ্রিল, ২০১৮, ২:৪৬ এএম says : 0
চাষীদের মুখে হাসি ফুটবে
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন