স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর রামপুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন স্যানিটারি ঠিকাদার বাসাই শিকদার (৩০)। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত নূরুল ইসলাম ওরফে নূর মোহাম্মদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল (শনিবার) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহতের লাশ বুঝে নেন বড় বোন জোহরা বেগম। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত নূর মোহাম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
নিহতের বোন জোহরা বেগম জানান, ৪ বোন ২ ভাইয়ের সংসারে বাসাই শিকদার ছিলো পঞ্চম। তিনি ঢাকায় ঠিকাদারির কাজ করতেন। পূর্ব রামপুরার ১৭৭/৩ নম্বর ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। গ্রামের বাড়ি মাদারিপুরের কালকিনিতে। শুক্রবার সাইডের কাজ তত্ত্বাবধায়ন শেষে বাসায় ফেরার পথে স্থানীয় সন্ত্রাসী নূর মোহাম্মাদ পূর্ব বাড্ডার মোল্লাবাড়ি সালামবাগ জামে মসজিদের পাশে তার পথরোধ করে এলোপাতাড়ি কোপায় এবং বুকে দুই রাউন্ড গুলি করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার এসআই আবু সাঈদ বলেন, নিহত ঠিকাদার স্থানীয় সন্ত্রাসী স্বপন গ্রুপের সদস্য। এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ স্বপন গ্রুপ ও নূর মোহাম্মাদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছিলো। সেই সংঘর্ষের সূত্র ধরেই শুক্রবার ঠিকাদার বাসাই শিকদারের ওপর হামলা চালায় নূর মোহাম্মাদ। ঘটনার পর স্থানীয় জনতা পূর্ব বাড্ডা থেকে নূর মোহাম্মাদকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে হামলায় ব্যবহৃত ৩ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, বাসায় শিকদারের মাথায় বেশ কয়েকটি কোপের দাগ রয়েছে। এছাড়াও তার বুকে দুই রাউন্ড গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন