ইনকিলাব ডেস্ক : ২০১৯ সালের নভেম্বরে তুরস্কের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান তা এগিয়ে এনেছেন। আগামী ২৪ জুন গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এরদোগান আশা করছেন, এর মধ্য দিয়ে পার্লামেন্টারি সরকার ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেন্ট ব্যবস্থায় তার রূপান্তর প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হবে এবং বিরোধীদের তিনি অনেকটা হতবাক করতে সফল হবেন। কিন্তু এরদোগানের বিরোধীরা নতুন উদ্যম আর অপ্রত্যাশিত কৌশলগত ভাবনা থেকে খুব দ্রæতই একত্রিত হয়েছেন।
যাইহোক, এরদোগানের বিরোধীরা সম্ভাবনাময় দু’জন প্রার্থীকে নিয়ে তার বিরুদ্ধে জোট গঠন করে এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এরা হলেন- নতুন গঠিত আইয়ী পার্টির ক্যারিসমেটিক নেতা মেরাল আকসেনার এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল। তবে, চূড়ান্তভাবে কোন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সম্মিলিত বিরোধীদলের প্রার্থী হবেন তা এখনো অস্পষ্ট।
এরদোগান এবং তার জাস্টিজ এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) বেশ শক্তিশালী কিন্তু বহু মেরুকরণ তুরস্কে একচ্ছত্র শক্তিশালী নয় বলে মনে করা হচ্ছে। বামপন্থী ‘সোজকো’ পত্রিকার একটি জরিপে দেখা গেছে, নির্বাচনে এরদোগান ৪৩.৫ শতাংশ ভোট পেতে পারেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভে সামান্য ঘাটতির কারণে প্রথম রাউন্ডের প্রেসিডেন্টশিয়াল ভোটে তিনি জিততে পারবেন না। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি ৫১.৮ শতাংশেরও কম ভোট পেয়েছিলেন।
মাসব্যাপী রমজানের ছুটি শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। এ কারণে বিদেশে এবং দূরবর্তী স্থানগুলিতে ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আয়োজকরা খুব বেশি সময় পাবেন না। নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালানোর জন্য প্রার্থীরাও সমানভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। এ ব্যাপারে একজন সাংবাদিক তার টুইটার পেজে লিখেছেন, ‘আপনি ২৪ জুনের মধ্যে একটি বিবাহও সংঘটিত করতে পারবেন না।’ -ফরেন পলিসি অবলম্বনে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন