শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ইসি সরকারের ইচ্ছে পূরণে কাজ করছে -মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ মে, ২০১৮, ২:১৮ পিএম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ইসির সুষ্ঠু নির্বাচন করার কোনো যোগ্যতাই নেই। তারা সরকারের ইচ্ছে পূরণে কাজ করছে।’ 

বুধবার সকালে শ্রমিক দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আগেও বলেছি বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছে পূরণে কাজ করছে। তাদের দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। উট পাখি যেমন ঝড় আসলে বালুর মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে মনে করে, তাদের ঝড় আঘাত করবে না। এ ইসির অবস্থা তেমন। তারা মনে করে নিরপেক্ষ নির্বাচন না করলে জনজোয়ার তাদের আঘাত করবে না। 

মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সমাধান হওয়ার আগে তফসিল ঘোষণা কখনই জনগণ মেনে নিবে না। সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রেও একই বিষয় কাজ করছে। সরকার যে নির্দেশ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন তাই বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, তাদের নিজস্ব কোনো চিন্তাভাবনা নেই। জনগণের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণের যে নিয়ম রয়েছে, সেটিও তারা পালন করছে না। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের সৃষ্টি। সরকার নিজেদের ইচ্ছে পূরণে তাদের পছন্দমতো লোক বসিয়েছে কমিশনে। যাতে আবারও একতরফা ভোট করে ক্ষমতায় আসতে পারে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসা দরকার। 

এ সময় ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, সরকার সব সময় চেষ্টা করেছে দেশের প্রধান বিরোধী দলকে দূরে রেখে, খালেদা জিয়াকে বাহিরে রেখে একতরফা নির্বাচনের। কারণ আওয়ামী লীগ পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের জনগণের কাছে যাওয়ার জায়গা নেই। তারা নিশ্চিত বিরোধী দল নির্বাচনে গেলে তাদের ভরাডুবি হবে সে জন্য একতরফা নির্বাচনের জন্যই এ কমিশন গঠন করেছে। যাতে তাদের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় আসতে পারে। কিন্তু এটি কখনো জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না আমরা আগেই বলেছি। 

সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, গাজীপুরের এসপি হারুনকে সরানোর জন্য আমরা চিঠি দিয়েছিলাম কিন্তু কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো আমাদের জোটের ৪৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে, এমনকি যিনি মেয়র পদে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব কারণে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এটি মনে করার কোনো কারণ আমি দেখছি না। 

আওয়ামী লীগ রাজনীতিকে একটি ভয়াবহ অন্ধকার গহ্বরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সাথে কোনো আলোচনা না করে, জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতেই সরকারের এ প্রচেষ্টা। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিমসহ শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা।

কাবুলে শান্তি ফেরাতে পাকিস্তান গুরুত্ব পাওয়ায় উদ্বিগ্ন ভারত
ইনকিলাব ডেস্ক : একের পর এক সহিংসতায় জর্জরিত কাবুলে শান্তি ফেরাতে পাকিস্তানের ভূমিকা রাখার কথা ভাবছে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো।
 
 
 
আফগানিস্তানে পাকিস্তানের এ গুরুত্ব বাড়ায় গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে দিল্লির সাউথ ব্লকে।
 
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক অংশের বরাতে আনন্দবাজারপত্রিকা জানিয়েছে, পশ্চিমের দেশগুলো বহুদূর থেকে কিছু পূর্বনির্ধারিত ধারণার ভিত্তিতে আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর সমাধান দিচ্ছে। আপাতত যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিশ্বের অন্য শক্তিশালী দেশগুলো শান্তি প্রক্রিয়ার রূপায়ণ তথা তালেবানের সঙ্গে মধ্যস্থতায় পাকিস্তানকে কাজে লাগাতে চাইছে। আর এতেই আপত্তি নয়াদিল্লির।
 
প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের নিরাপত্তায় আফগানিস্তানের পরিস্থিতির প্রভাব পড়ছে। আন্তর্জাতিক শক্তির প্রতি নয়াদিল্লির বার্তা, কাবুলের সহিংসতার পেছনে অন্যতম শক্তি যে পাকিস্তান, এই সত্য স্বীকার করা প্রয়োজন।
 
আইএস ও তালেবানকে আলাদাভাবে বিবেচনা করে আলাদা আচরণের পক্ষপাতী ইরান, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো।
 
কিন্তু সাউথ ব্লক মনে করে, দিনের শেষে সবাই সন্ত্রাসবাদী এবং নিজেদের স্বার্থেই পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলে।
 
গত সপ্তাহে ইইউর বিশেষ দূত রোনান্ড কোবিয়া নয়াদিল্লি যান আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে।
 
তার বক্তব্য, মার্চ মাসে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি তালেবানের উদ্দেশ্যে যে শান্তি প্রস্তাব দিয়েছেন, তাকে সমর্থন করুক ভারত। শুধু ভারতই নয়, বিভিন্ন রাষ্ট্র যাতে এই প্রস্তাব সমর্থন করে, সে জন্য জনমত তৈরি করতে চাইছে ইইউ।
 
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, নয়াদিল্লি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে যে এই প্রস্তাবটি আদৌ কোনো শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে না।
 
নয়াদিল্লি মনে করে, আফগানিস্তানে কৌশলগত প্রভাব ধরে রাখার জন্য পাকিস্তান সমানে তালেবানকে ব্যবহার করছে। প্রকৃতপক্ষে ভারতকে চাপে রাখার কৌশল সেটি।
 
অথচ শান্তি প্রস্তাবে পাকিস্তানের এ নেতিবাচক ভূমিকা সম্পর্কে উদাসীনতা চোখে পড়ছে। পাশাপাশি এ মুহূর্তে রাশিয়া ও ইরানের মতো দেশও আইএসের থেকে বাঁচতে তালেবানের শরণাপন্ন হয়েছে। আর রাশিয়ার সঙ্গে আফগান তালেবানের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে সেই পাকিস্তান।
 
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, এ মুহূর্তে পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো করে তালেবানের সঙ্গে কথা বলে চলেছে। ফলে সমাধানের বদলে সংকট জটিল হচ্ছে বেশি। আইএস ও তালেবানকে পৃথকভাবে দেখার এই পশ্চিমা ধারণাটিই যে ত্রুটিপূর্ণ, সে কথাও ইইউর বিশেষ দূতকে জানিয়েছে সাউথ ব্লক।
 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
কাওসার আহমেদ ২ মে, ২০১৮, ৩:০৬ পিএম says : 0
আপনি ঠিকই বলেছেন
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন