সদ্য শেষ হওয়া এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১২টি বিষয়ের এমসিকিউ অংশের কেবল ‘খ’ সেটের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি। তবে যেহেতু উন্মুক্তভাবে কোনো প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এজন্য তদন্ত কমিটি ওই পরীক্ষাগুলো বাতিল না করার সুপারিশ করেছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কমিটির সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব তথ্য জানান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কতিপয় ক্লোজ গ্রুপে এ প্রশ্ন শেয়ারের ঘটনা ঘটেছে। যদিও সেখানে বেশিরভাগ গ্রুপের প্রশ্নই সঠিক ছিল না। কেউ কেউ সাজেশন আকারে প্রশ্ন দিয়েছে। সেখান থেকে কিছু প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবে কমন পড়েছে।’
নাহিদ বলেন, ‘ক্লোজ গ্রুপের মাধ্যমে প্রশ্ন পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধাভোগী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট পরীক্ষার্থীর মাত্র ০.২৫ শতাংশ বা ৪ থেকে ৫ হাজার। তাদের কারণে ২০ লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীর পুনরায় পরীক্ষা নেয়া হবে না।’
তদন্ত প্রতিবেদনের বরাদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। ফলে তাদের পরীক্ষা বাতিলের প্রশ্নই ওঠে না।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গেল এসএসসি পরীক্ষায় ১৭টি বিষয়ের মধ্যে ১২টির এমসিকিউ অংশের কেবল ‘খ’ সেটের প্রশ্ন (৩০ নম্বরের ৪টি সেটের একটি) ফাঁস হয়েছে। কোনো বিষয়ের ৭০ নম্বরের সৃজনশীল অংশের প্রশ্ন ফাঁস হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট আগে এসব প্রশ্ন হাতে পেয়েছে। এত স্বল্প সময়ের মধ্যে ৩০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করা সহজ নয়। ফলে তাদের সামগ্রিক ফলাফলে এটা খুব বেশি প্রভাব রাখতে পারবে না। এজন্য কমিটি যেহেতু কোনো পরীক্ষা বাতিলে সুপারিশ করেনি। তাই কোনো পরীক্ষা বাতিল হবে না। আমরা তাদের দেয়া এই প্রতিবেদন অনুমোদন দিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত ১ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার তত্ত্বীয় এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ ব্যবহারিক পরীক্ষা হয়।
দেশের তিন হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে এবার ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়।
আগামী ৬ মে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে বলে ইতোমধ্যে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন