ইনকিলাব ডেস্ক : ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তির শর্তে কোনও রকম পরিবর্তন চাইলে তা মানবে না তেহরান। চুক্তির ‘ভয়ংকর ত্রæটিগুলো পুনর্বিবেচনা করতে’ স¤প্রতি ইউরোপীয় শক্তিগুলোর প্রতি আহŸান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে ইউটিউবে প্রকাশিত জাভেদ জারিফের এক ভিডিও বার্তাকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সম্পাদিত চুক্তিতে থাকা পূর্ববর্তী শর্তগুলো অটুট না থাকলে ইরান তা মেনে নেবে না। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের কাছে ইউরোনেয়িাম প্রকল্প সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে ইরান। চুক্তির মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত। তবে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজ চায় ইউরোপীয় স্বাক্ষরকারীরা ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়ে স্থায়ী অবরোধ আরোপ করুক। যদিও চুক্তি স্বাক্ষরকারী অন্য দেশগুলো কোনভাবেই এতে রাজি নয়। যুক্তরাষ্ট্রের একা এই চুক্তি বাতিলের এখতিয়ার নেই বলেও দাবি তাদের। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সমঝোতার শর্ত অনুযায়ী প্রতি ৯০ দিন পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিশ্চিত করতে হয় যে, ইরান এ সমঝোতা মেনে চলছে। যদি তিনি বলেন, তেহরান সমঝোতা মানছে না তাহলে মার্কিন কংগ্রেস এ সমঝোতা বাতিল করতে বাধ্য। সে বছরই জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন-জেসিপিওএ’র আওতায় ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্স।
নেশায় বুঁদ নাইজেরিয়ায় নিষিদ্ধ হলো কফ সিরাপ
ইনকিলাব ডেস্ক : ফেন্সিডিল আসক্তি ছড়িয়ে পড়েছে নাইজেরিয়াতেও। নাইজেরিয়ায় কোডিন নামে একরকম আফিম জাতীয় উপাদান-মেশানো কফ সিরাপ দিয়ে নেশা করাটা মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছেÑ এমন খবর বের হওয়ার পর চারটি ওষুধ কোম্পনিতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ইতোমধ্যে ওই কফ সিরাপ উৎপাদন ও আমদানি নিষিদ্ধ করেছে নাইজেরিয়া। তবে বিবিসি তদন্তে পেয়েছে, দেশটির তরুণরা ওই সিরাপ কালোবাজার থেকে কিনছে এবং নেশা করার জন্য তা ব্যবহার করছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এই কোডিন কফ সিরাপের কারণে একটি নেশাসক্ত প্রজন্ম তৈরি হয়েছে নাইজেরিয়ায়। কোডিন মেশানো কফ-সিরাপকে মাদক হিসেবে ব্যবহার করা নতুন নয়। কোডিন এক ধরনের আফিমজাত ব্যথানাশক, কিন্তু এটা মানবদেহে নেশা তৈরি করে। বেশিমাত্রায় সেবন করলে এটা মানুষের স্কিৎসোফ্রেনিয়ার মতো মানসিক রোগ এবং বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হয়ে পড়ার মতো গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে। কোডিন থেকে শুরু করে মরফিন এবং নিষিদ্ধ হেরোইন পর্যন্ত বিভিন্ন রকম ড্রাগ এই ওপিঅয়েড গোত্রের মধ্যে পড়ে। এই কোডিন সিরাপের নেশা এখন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। নাইজেরিয়া ছাড়াও কেনিয়া, ঘানা, নাইজার এবং শাদে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন