কর্পোরেট রিপোর্টার : সংস্কারে ব্যর্থ কারখানা পরিদর্শন করবে সরকার। এসময় অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের তালিকা থেকে বাদ পড়া কারখানার নিরাপত্তা মান ও সংস্কার অগ্রগতি যাচাই করা হবে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে (ডিআইএফই) এ বিষয়ে দায়িত দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সেসব কারখানার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। অধিদপ্তরের পরিদর্শনের ফলের ভিত্তিতে জোট দুটির প্রতিনিধি, কারখানা মালিক ও বিজিএমইএর সঙ্গে পরামর্র্শের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। ডিআইএফইর মহাপরিদর্শক সৈয়দ আহমেদ বলেন, সংস্কার সন্তোষজনক না হওয়ায় অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের তালিকা থেকে বাদ দেয়া কারখানাগুলোর প্রকৃত অবস্থা জানতে ফের পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন ডিআইএফই পরিদর্শকরা। প্রকৃত অবস্থা তুলে আনার পাশাপাশি সংস্কারে পিছিয়ে থাকার কারণও জানতে চাওয়া হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে পরিদর্শন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের পাশাপাশি নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ডিআইএফই সূত্রে জানা গেছে, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ক্রেতা জোট যথাক্রমে ইউরোপের ক্রেতা জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন উত্তর আমেরিকার ক্রেতা জোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি তাদের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সংস্কারে ব্যর্থ ৮৩ কারখানার সঙ্গে সব ধরনের বাাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এর কারণ ব্যর্থ কারখানাগুলোর ভবনের কাঠামো, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা মান নি¤œমানের ছিল। জোটের যাচাইয়ের মধ্যে অ্যাকর্ডের কারখানার সংখ্যা ২৩টি এবং বাকি ৬০টি কারখানা অ্যালায়েন্সভুক্ত। এসব কারখানা এখন থেকে দুই জোটের কোনো ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের রফতানি আদেশ পাবে না। জোট দুটিতে মোট ক্রেতা প্রতিষ্ঠান রয়েৃছে ২১৮টি। তবে এরাই দেশের পোশাক খাতের মূল ক্রেতা। দুই হাজার ৬৭৭টি কারখানা থেকে পোশাক নিয়ে থাকে এসব প্রতিষ্ঠান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন