শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রফতানি প্রবৃদ্ধিতে ৮৮ শতাংশ অবদান পোশাক শিল্পের

প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : তৈরি পোশাক খাতের ওপর ভর করে বাড়ছে রফতানি আয়। চলতি অর্থবছরের (জুলাই-মার্চ) সময়ের ৯ মাসে মোট রফতানি আয়ে পোশাকের অবদান ৮২ শতাংশ। তবে হোমটেক্স, টেরিটাওয়েলসহ এ খাতের অন্যান্য রফতানির উপখাত বিবেচনায় নিলে পোশাক খাতের অবদান ৮৮ শতাংশেরও বেশি। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে তৈরি পোশাকের আয় বেশি হয়েছে প্রায় আড়াই শতাংশ। এ সময় ছোট-বড় অন্যান্য প্রায় সব খাতের রফতানি কমেছে। এর পরও মোট রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ব্যয় ৯ শতাংশের বেশি হয়েছে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত নয় মাসে মোট রফতানি আয় এসেছে দুই হাজার ৪৯৫ কোটি ৫১ লাখ ডলার। এর মধ্যে দুই হাজার ৪৪ কোটি ডলারই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। এ খাতের ওভেন থেকে আয় এসেছে এক হাজার ৭৭ কোটি ডলার। এ আয় এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাকের অপর খাত নিটের রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৯৬৭ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। গত বছর একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। তবে এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে রফতানি কিছুটা (শূন্য দশমিক শূন্য ৩) কম হয়েছে।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, পোশাকের বাইরে প্রায় সব বড় পণ্যের রফতানি কমেছে আলোচ্য সময়ে। হিমায়িত খাদ্য ও মাছের রফতানি কমেছে ১২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এ খাতের চিংড়ির রফতানি কমেছে ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। পাট ও পাট পণ্যের কমেছে ১ দশমিক ৭২ শতাংশ। তবে কাঁচা পাটের রফতানি বেড়েছে ২৩ শতাংশ। সম্মিলিতভাবে চামড়া ও চামড়াপণ্যের রফতানি ৩ শতাংশের মতো বাড়লেও চামড়ার কমেছে ৩১ শতাংশ। কৃষিপণ্যের কমেছে ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ। এর মধ্যে সবজির কমেছে ৪১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। প্লাস্টিকের কমেছে ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ছোট ছোট অন্যান্য প্রায় সব পণ্যের রফতানিও কমেছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, তৈরি পোশাকেও রফতানি আয় আরও বাড়ানোর সক্ষমতা রয়েছে। বিশ্ববাজারে চাহিদা বাড়ছে এ খাতের। নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, ‘চায়না প্লাস’ নীতির সুবিধা।
তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সামর্থ্যের তুলনায় পোশাকের রফতানি এখনও কম। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। নতুন বাজার যেমন বাড়ছে, তেমনি চীনের ছেড়ে দেওয়া বাজার দখলে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এসব বিবেচনায় বিশ্ব পোশাক বাজারে বাংলাদেশের বর্তমান অংশীদারিত্ব বর্তমানের পাঁচ শতাংশ থেকে আট শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব। এ জন্য দরকার শুধু সরকারের পক্ষ থেকে কিছু নীতি-সহায়তা।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই-মার্চ নয় মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে রফতানি বেশি হয়েছে ২ দশমিক ১২ শতাংশ। একক মাস হিসেবে মার্চে রফতানি বেড়েছে গত বছরের মার্চের তুলনায় ৯ দশমিক ২০ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা থেকে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়ে মার্চে আয় হয়েছে ২৮৩ কোটি ১৪ লাখ ডলার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন