স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘বত্রিশ হাজার একত্রিশটি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মাদক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতোমধ্যে ২১ হাজার ৮৩টি প্রতিষ্ঠানে কমিটি করা হয়েছে। আর বাকি আছে ১০ হাজার ৯৪৮টি প্রতিষ্ঠান।
গতকাল বুধবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। তিনি বলেন, যেগুলোতে এখনো কমিটি করা হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানে দ্রুত কমিটি করতে হবে। শুধু কমিটি করলেই হবে না। মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য এই সব কমিটিকে কাজ করতে হবে। সচেতনতামূলক সভা ও সেমিনার করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যদি কোনো শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত হয়, তাহলে তার দায় তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষকদের নিতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী যদি মাদকাসক্ত হয়, তাহলে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে, সে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। সেই শিক্ষার্থী যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হবে, সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষকদের দায়ী করা হবে। কারণ একজন শিক্ষার্থী যে স্কুলে পড়াশুনা করে, সে সেই স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে সময় কাটায়, তাদের কথা শুনে থাকে। তিনি বলেন, শুধু ভালো শিক্ষা দিলেই হবে না। শিক্ষার্থীরা কোথায় গেল, কী করল, তার খোঁজ-খবর রাখতে হবে এবং তাদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শুধু ভালো পড়ালে হবে না, ভালো মানুষ করার দায়িত্বও শিক্ষকদের।
মাদক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে মাদক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হচ্ছে, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যে সব শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত হয়, তারা মাধ্যমিক পর্যায় থেকেই শুরু করে। এরপর উচ্চমাধ্যমিকে গেলে তারা বাধাহীনভাবে মাদক সেবনের সুযোগ পায়। মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষায় পাস-ফেল থাকবেই। পাস ফেলের নেতিবাচক প্রভাব যাতে শিক্ষার্থীদের ওপর না পড়ে, সেই জন্য পাস-ফেলের এই বাস্তবতা শিক্ষার্থীদের বুঝাতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন