শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

পানামা পেপারসে বাংলাদেশ ওরা ৩৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:৪৭ এএম, ৭ এপ্রিল, ২০১৬

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বিশ্ব তোলপাড় করা পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে ফাঁস হওয়া বিশ্বের নামীদামী রাষ্ট্রনায়ক, সরকার প্রধান ও প্রখ্যাত নেতাদের অর্থ পাচারের তালিকায় বাংলাদেশের ৩৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। এরা বিভিন্ন সময় দেশ থেকে অর্থ পাচার করেছে বলে পানামা পেপারসে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ২টি কোম্পানি, একজন সুবিধাভোগী ও ২২ জন শেয়ারহোল্ডার। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ এবং তার স্ত্রী নিলুফার জাফর এমপি, সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানের বড় ভাই আজিজ খানসহ তার পরিবারের ৫ জনের নামও রয়েছে। কাজী ‘পানামা পেপারস’ নামে ওসব নথি প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)। যদিও এরই মধ্যে ‘পানামা পেপারসে’ ফাঁস হওয়া দলিলের তথ্যের ফৌজদারি তদন্তে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছে পানামা সরকার।
বাংলাদেশে এখনো এ নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য না হলেও কর ফাঁকির গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার পর বিশ্বের ক্ষমতাধর রাজনীতিক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও অনেক সেলিব্রেটি এখন চাপের মুখে পড়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অর্থপাচারের ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অফশোর ক্লায়েন্ট তালিকায় পানামার আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার ফাঁস হওয়া এই চাঞ্চচল্যকর গোপন নথিতে ২৫ বাংলাদেশী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জড়িতের তথ্য ফাঁস হওয়ায় এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। তারা বিভিন্ন অফশোর কোম্পানির নামে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন বলে পানামা পেপারসে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে তথ্য ফাঁসের ঘটনাকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন ষড়যন্ত্র বলে বর্ণনা করেছে ক্রেমলিন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেছেন, গোপন দলিলগুলো নিয়ে যারা অনুসন্ধান চালিয়েছেন তাদের অনেকেই সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তা। কর ফাঁকি মোকাবেলায় সবাইকে আরো বেশি সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বলেছেন, কর ফাঁকির বিষয়টি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। মার্কিন ট্রেজারি ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান ওবামা।
পানামার মোস্যাক ফনসেকার কর ফাঁকির তথ্য ফাঁসের ঘটনায় তোপের মুখে শেষমেষ পদত্যাগ করেছেন আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমান্দার গানোলোগসন। তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দিয়ে কয়েক কোটি ডলার মূল্যের পারিবারিক সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বাবার করফাঁকির প্রমাণসহ নাম আসায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপের মুখে রয়েছেন ক্যামেরন। তবে অফশোর কোম্পানিতে তার কোনো শেয়ার নেই বলে দাবি করেন তিনি।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মারসিও মার্সির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, তার ছেলে ও মেয়ের নাম ফাঁস হওয়ার পর, অভিযোগ তদন্তে একজন অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করেছেন। কর ফাঁকির বিষয়ে কথা বলেছেন বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। বলেছেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। এর আগে পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া তার মিডিয়া ম্যানেজারের মাধ্যমে এই নথিকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করেন।
কর ফাঁকির গোপন তথ্য ফাঁস করে আলোচনার কেন্দ্রে মোস্যাক ফনসেকা। গত সোমবার বিশ্বের ৭২ টি দেশের বর্তমান ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান এবং রাজনীতিবিদসহ শতাধিক ক্ষমতাধর মানুষ বা তাদের নিকটাত্মীয়দের বিদেশে অর্থ পাচারের তথ্য উঠে এসেছে মোস্যাক ফনসেকার ফাঁস হওয়া ১ কোটি ১৫ লাখ নথিতে। এসব ব্যক্তির কর ফাঁকির গোপন নথি ফাঁস করে বিশ্বব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি করে পানামার ওই আইনী প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র মতে, জার্মান দৈনিক জিটডয়েচ সাইতংয়ের অনুসন্ধানী সাংবাদিক বাস্তিয়ান ওবারমেয়ারের হাতে এসব নথি আসে। তারা এটাকে তুলে দেন আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিক সংস্থা আইসিআইজের কাছে। পরবর্তীকালে যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান, ভারতের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, বাংলাদেশের নিউএইজসহ ৭৮টি দেশের ১০৭টি সংবাদমাধ্যম এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে। গত সোমবার ১ কোটি ১৫ লাখ নথি প্রকাশ করা হয়।
এ পর্যন্ত কর ফাঁকির কেলেঙ্কারিতে যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে আছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর পরিবারের সদস্যরা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন, আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুনডার ডাভিড গুনলাগসন, ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি, ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফ্যান্টিনোসহ বিশ্বের বাঘা বাঘা রাষ্ট্রপ্রধানসহ শতাধিক ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও আত্মীয়-স্বজনের নাম।
এই তালিকায় থাকাদের কর ফাঁকি দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ার প্রমাণ রয়েছে।
এদিকে আইসিআইজের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত বৈশ্বিক অর্থপাচারের তালিকায় থাকা ২৫ বাংলাদেশী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের জড়িত থাকার কথা জানানো হয়। আইরিশ টাইমসের ডিজিটাল প্রডাকশন বিষয়ক সম্পাদক ব্রায়ান কিলমার্টিনের তৈরি গ্রাফিকস ম্যাপে বাংলাদেশের ২২ শেয়ারহোল্ডার, ১ সুবিধাভোগী ও ২ কোম্পানির কথা জানানো হয়েছে। প্রথম দফায় তালিকা প্রকাশ করার পর আগামী মে মাসে দ্বিতীয় কিস্তি নথি প্রকাশের কথা রয়েছে।
উইকিলিকসের টুইটার একাউন্টে প্রথম দফার ওই লিংকটি মঙ্গলবার শেয়ার করা হয়েছে। লিংকে বাংলাদেশের অনেকেই বিদেশে নামে-বেনামে কোম্পানি খুলে কর ফাঁকি দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ছে বলে উঠে এসেছে। আইসিআইজের হস্তগত গোপন নথি অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী বিদেশে কোম্পানি স্থাপন করে কর ফাঁকি দিচ্ছে। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ ও তার স্ত্রী নিলুফার জাফরের নাম। বলা হয়েছে তারা বৃটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে অফশোর কোম্পানির মালিক। তবে জাফরউল্লাহ ও তার স্ত্রী উভয়েই এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এছাড়া সামিট ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড মার্কেন্টাইল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আজিজ খান, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আজিজ খান, কন্যা আয়েশা আজিজ খান, ভাই জাফর উমায়েদ খান ও ভাগ্নে ফয়সাল করিম খানের বিদেশে মোট ছয়টি কোম্পানি চালান। এর মধ্যে জাফর উমেদ খান ও মো. ফয়সাল করিম খান বাদে তারা বৃটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের কোম্পানি নিবন্ধন করিয়েছেন সিঙ্গাপুরের ঠিকানায়। এসব কোম্পানি অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত। তারা অফশোর কোম্পানির শেয়ারের মালিকানা নিতে নিজেদেরকে ডাইরেক্টর বা শেয়ারহোল্ডার দেখানোর চেয়ে নমিনি হিসেবে দেখিয়েছে। তবে আজিজ খান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তাদের কার্যক্রম আইনসম্মত বলে দাবি করেন। ওই তালিকায় আরও নাম আছে অনেক বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর, যারা বৃটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে অফশোর কোম্পানির মালিক। এর মধ্যে আছেন ইউনাইটেড গ্রুপের হাসান মাহমুদ রাজা, খন্দকার মইনুল আহসান (শামীম), আহমেদ ইসমাইল হোসেন ও আখতার মাহমুদ। এতে নাম আছে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজের সাবেক সভাপতি এ এমএম খানের। ওই তালিকায় নাম আছে মোমিন টি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজমল মইন, পাট ব্যবসায়ী দিলিপ কুমার মোদির। তারা দু’জনেই ২০০৫ সালের মার্চে রাইটস্টার প্রাইভেটের পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার হন। সি পার্ল লাইন্সের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সিরাজুল হকের নামও আছে এতে। বলা হয়েছে তিনি সভারিন ক্যাপিটল প্রাইভেটের ডাইরেক্টর বা শেয়ারহোল্পার। এটা নিবন্ধিত হয়েছে ২০১০ সালে। ওই তালিকায় নাম আছে বাংলা ট্রাক লিমিটেডের মো. আমিনুল হক, নাজিম আসাদুল হক ও তারিক একরামুল হকের। এ ছাড়া নাম আছে ওয়েস্টার্ন মেরিনের পরিচালক সোহেল হাসানের। নাম আছে মাসকট গ্রুপের চেয়ারম্যানএফএম জুবাইদুল হকের। বলা হয়েছে তিনি তার স্ত্রী সালমাসহ অফশোর কোম্পানি স্প্রিয় শো’র ইন্টারন্যাশনালের ডাইরেক্টর/শেয়ারহোল্ডার হন ২০০৭ সালের মে মাসে। এ তালিকায় আরও নাম আছে সেতু করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাবুদ্দিন চৌধুরীর। স্ত্রী উম্মেহর সঙ্গে তিনি ২০০৭ সালের আগস্টে তালাভেরা ওয়ার্ল্ডওয়াইডের ডাইরেক্টর/শেয়ারহোল্ডার হন। স্কাপর্ক লিমিটেড এবং অমনিকেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখারুল আলমের নাম রয়েছে ওই তালিকায়। রয়েছে তার পুত্রবধূ ফওজিয়া নাজের নাম। বলা হয়েছে তারা সিটি লিঙ্কের মালিক। তারা ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে সিঙ্গাপুরের ঠিকানা ব্যবহার করে পাউমি টেকনোলজি লিমিটের ডাইরেক্টর/শেয়ারহোল্ডার হন। আবদুল মোনেম লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আএসএম মহিউদ্দিন আহমেদ, তার স্ত্রী আসমা মোনেমের নাম রয়েছে এতে। বলা হয়েছে তারা ২০০৮ সালের জুনে অফশোর কোম্পানি ম্যাগনিফিসেন্ট ম্যাগনিটিউডের ডাইরেক্টর/শেয়ারহোল্ডার হয়েছেন। এতে আরও নাম রয়েছে অনন্ত গ্রুপের শরিফ জাহিরের নাম। বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি সিপিএটি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক হয়েছেন।
ফৌজদারি তদন্ত করবে পানামা : পানামার আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মোস্যাক ফনসেকার ফাঁস হওয়া চাঞ্চচল্যকর গোপন নথির বিষয়টি তদন্ত করবে দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউটর অফিস। পানামার প্রসিকিউটর অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘পানামা পেপারস’ নামে খ্যাত প্রতিবেদনে যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তার ফৌজদারি তদন্ত করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্তের উদ্দেশ্য হবে- কী ধরনের অপরাধ হয়েছে এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত আর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়টি নিরূপণ করা। মোস্যাক ফনসেকা বলেছে, তাদের সার্ভার ‘সীমিত হ্যাংকিংয়ের’ শিকার হয়েছে। এর সঙ্গে বাইরের কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা র‌্যামন ফনসেকা বলেছেন, নথি ফাঁস পানামার ওপর একটি হামলা। দেশটি তাদের অর্থনৈতিক সেবা খাতের ওপর নির্ভরশীল। পানামার প্রেসিডেন্ট জুয়ান কার্লোস ভ্যারেলা বলেছেন, বিষয়টি তদন্তে তার দেশ সহায়তা করবে। তবে তিনি তার দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার অঙ্গীকারও করেন।
নথির নিরপেক্ষতা নিয়ে সমালোচনা : পানামার আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মোস্যাক ফনসেকার ফাঁস হওয়া ১ কোটি ১৫ লাখ গোপন নথি নিয়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। প্রশ্ন উঠেছে পানামা পেপারসের নিরপেক্ষতা নিয়ে। এর উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকরা বলছেন, ফনসেকা নাম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। সমালোচকরা বলছেন, সিরিয়া, রাশিয়া, আর্জেন্টিনা, চীন, পাকিস্তান, মিসরের মতো দেশগুলোকে নিচু করতেই এই নথি ফাঁস করা হয়েছে। আইসল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ছাড়া এখানে আর কোনো পশ্চিমা দেশ নেই। অনেক তাত্ত্বিক এর মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। এর সপক্ষে তারা যুক্তিও হাজির করেছেন। সেটি হল, ফনসেকার নথিতে কোনো মার্কিন নেতার নাম নেই। ন্যাটো বা জাতিসংঘের কোনো দুর্নীতিরও উল্লেখ নেই।
অভিযোগ খ-নের হিড়িক : পানামা পেপার্সের অভিযোগ খ-নে হিড়িক পড়েছে। বিভিন্ন দেশ ও দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধান এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশও দেয়া হয়েছে। এদিকে দেশে দেশে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন