শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ

প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হাটহাজারী উপজেলা সংবাদদাতা : এশিয়ার বিখ্যাত একমাত্র মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে গত বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে মা মাছগুলো ডিম দিয়েছে। তবে ডিম ধরতে না পেরে অনেক সংগ্রহকারী হতাশ হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, গত বুধবার হালদা নদীর জোয়ারের পানি বেশি হওয়ার ফলে আনুমানিক রাত ১২টার দিকে মা মাছের নমুনা দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে আবার জোয়ার হলে মা মাছ পুরো দমে ডিম ছেড়ে দেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ডিম সংগ্রহকারীরা নৌকা ও জাল নিয়ে হালদা নদীতে নেমে পড়ে।
সাধারণত মুষলধারে বৃষ্টি ও মেঘের গর্জন এবং পাহাড়ি ঢলের স্রোতে হালদায় মা-মাছ ডিম ছাড়ে কিন্তু এবার ব্যতিক্রমধর্মী ডিম দিয়েছে মা-মাছ। প্রতি নৌকায় ৫/৬ (ডিম-পানি) বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেছে। এক হাজার নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহকারীরা হালদায় নেমে আনুমানিক দেড়হাজার/দুইহাজার কেজি ডিম পেয়েছে। আগামী পূর্মিমা তিতিতে আবারও মা-মাছ ডিম ছাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংগ্রহকারীরা। হালদা নদীতে অসময়ে ডিম দেওয়ার কারণে অনেক সংগ্রহকারী ডিম সংগ্রহ করতে পারেনি। হাটহাজারী, মদুনাঘাট হতে সত্তারঘাট পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্পটে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। তবে পর্যাপ্ত হ্যাচারির অভাবে আহোরিত ডিম নিয়ে বিপাকে রয়েছেন সংগ্রহকারীরা।
এদিকে, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সংগৃহীত ডিম থেকে রেণু ফুটানোর কাজে ব্যস্ত ডিম আহরণকারীরা। এই ডিম ২/৩ দিন পর থেকে বিক্রি শুরু হবে। ডিম সংগ্রহকারীরা মধ্যরাতের ডিম সংগ্রহ করেছে জনপ্রতি ৫/৬ বালতি করে। তবে ডিম থেকে রেণু ফুটানোর পর্যাপ্ত হ্যাচারি না থাকায় সংগ্রহকারীরা বিপাকে পড়েছে। একটি হ্যাচারি অন্তত ৪০/৫০ জনের ডিম একত্র করে ফুটানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি ছয়টি, একটি বেসরকারি সব মিলে ৭টি হ্যাচারি রয়েছে। এসব হ্যাচারিতে ডিম ফুটানো কাজে ব্যস্ত সংগ্রহকারীরা। আবার কোনো কোনো স্থানে সনাতন পদ্ধতিতে ডিম থেকে রেণু ফুটানোর কাজ চলছে।
ডিম সংগ্রকারীদের সুবিধার্থে হালদার পারে আরও কয়েকটি মৎস্য হ্যাচারি নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন