শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। নয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ছয় দিনের মাথায় গতকাল (বৃহস্পতিবার) স্নাতক পর্যায়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে বিকেল ৩টার মধ্যে চারটি ছাত্র হল এবং আজ (শুক্রবার) সকাল ১০টার মধ্যে একটি ছাত্রী হল খালি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফজলুর রহমান জানান, ভিসি প্রফেসর মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে বিভাগীয় প্রধান ও হল প্রভোস্টদের নিয়ে এক জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্নাতক পর্যায়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে স্নাতকোত্তর ও উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের এ ঘোষণা প্রত্যাখান করে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হল ছেড়ে যায়নি। সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর এলাকায় তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতা অটল ভৌমিক জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কোনো ‘যৌক্তিক কারণ’ থাকতে পারে বলে আমরা মনে করি না। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। আমরা বন্ধের ঘোষণা মানি না।
এদিকে সন্ধ্যায় জনসংযোগ কর্মকর্তা ফজলুর রহমান জানান, বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হল ছেড়ে গেছে। বাকিরাও রাতের মধ্যে চলে যাবে।
গত ২৯ মার্চ সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপত্য বিভাগ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মোহাইমিনুল ইসলাম সিয়াম নিহত হওয়ার পর থেকে ক্যাম্পাসে টানা আন্দোলনে রয়েছে শিক্ষার্থীরা। আট দফা দাবিতে তাদের এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে আছে। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালককে গ্রেপ্তার, চট্টগ্রাম নগরী থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চালু, ছয় নম্বর রুটের মিনিবাস রুটকে মদুনাঘাট থেকে বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গেইট পর্যন্ত করা।
কাপ্তাই রোডে তিন চাকার লেগুনা, অনিবন্ধিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ, স্পিড ব্রেকার ও ট্রাফিক চেকপোস্ট স্থাপন, রাস্তার সম্প্রসারণ ও সংস্কার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল সেন্টার স্থাপন ও এম্বুলেন্স রাখার দাবিও আছে তাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক আশুতোষ সাহার অপসারণের দাবিও যোগ করা হয়েছে এই আট দফার মধ্যে। আন্দোলন চলাকালে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠে আশুতোষ সাহার বিরুদ্ধে। সর্বশেষ বুধবার রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া পথেরহাট এলাকায় আরেক সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক শায়লা শারমিন, ফারজানা ইফু ও নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম অর্পা আহত হন। এ দুর্ঘটনা খবরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নতুন গতি আসে। প্রসঙ্গত গত এক বছরে অন্তত তিনবার বন্ধ হয়েছে চুয়েট।




 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন